নাখালপাড়া জঙ্গি আস্তানা থেকে দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ১২ জন


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০১৮, ০৩:১৮ পিএম
নাখালপাড়া জঙ্গি আস্তানা থেকে দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ১২ জন

রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে যে ভবনটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গতকাল রাত থেকে অভিযান চালায়, গত চার বছরে দুই দফায় আগে সেই ‘রুবি ভিলা’ থেকে ১২ জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ১৩/১ পশ্চিম নাখালপাড়ার ‘রুবি ভিলা’ নামে ওই বাড়িটি ঘিরে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবনটির মালিক সাব্বির হোসেন। তিনি বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

ভবনটির পাঁচতলার একটি কক্ষেই ‘জঙ্গি আস্তানা’ বলে জানিয়েছে র‍্যাব। ওই ভবনে মেস করে শিক্ষার্থী ও অন্যরা থাকেন। রাত থেকে অভিযানের পর সকালে র‍্যাব জানায়, সেখানে তিনজনের লাশ পড়ে রয়েছে। সবাই পুরুষ।

সকাল ১০টার দিকে র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, নিহত তিনজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। সেখান থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত ২টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবন থেকে অন্য বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে।

দুপুর ২টার দিকে ফের অভিযান নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন মুফতি মাহমুদ। তখন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘২০১৩ ও ২০১৬ সালে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে এই ভবন থেকে জঙ্গি সন্দেহে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’

পশ্চিম নাখালপাড়ার যে ছয়তলা বাড়িটি ঘিরে এ অভিযান চালানো হয়, সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এই ভবনটি ছাপড়া মসজিদের পাশে। ভবনের উত্তর দিকে রয়েছে সংসদ সদস্যদের আবাসিক ভবন। বাড়িটির পাঁচতলায় একটি মেস করে জঙ্গিরা অবস্থান করছিল বলে র‍্যাব প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। সেখানে তাঁরা উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে। তবে তাঁরা ভুয়া আইডি ব্যবহার করেছিল বলে সন্দেহ করছে র‍্যাব।

অভিযান সম্পর্কে সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিম নাখালপাড়ার এক ষাটোর্ধ্ব নারী জানান, তাঁর জন্ম এখানেই। এক বছর আগেও এই ভবন থেকে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় তেজগাঁও থানার পুলিশ। পরে তাঁরা জেনেছিলেন, তাদের জঙ্গি সন্দেহেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

আজ সকালে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বছরখানেক আগে ওই ভবন থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব, পুলিশ না। র‍্যাব পরে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করে। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, একজনের নামে মামলা হয়।’

তবে এ ঘটনাটি আমিনুল ইসলাম পরে জেনেছেন বলে জানান। সে সময় তিনি এই থানায় ছিলেন না উল্লেখ করে বলেন, ‘তখন আমি এখানে ছিলাম না।’

গোনিউজ২৪/কেআর

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর