মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৭, ১০:০৮ পিএম
মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা ও পিতাকে কুপিয়ে আহত করেছে মাদকসেবী এক যুবক। নাটোর সদর উপজেলার দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম বিলকিস বেগম (৪২) ও আলিফ সর্দার (১০)। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলম সর্দারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। আহত শাহাদাৎ সর্দারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাটোর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত আটটার দিকে দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামের শাহাদৎ সর্দারের বাড়িতে হৈ চৈ শুনে গ্রামবাসী সেখানে যায়। এ সময় ওই বাড়িতে আলম সর্দারের ছেলে পিএসসি সমাপনী পরীক্ষার্থী আলিফ সর্দার (১১) ও তার দাদী বিলকিস বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার সময় আলমের বাবা সাহাদৎ সর্দার বাড়ির বাইরে ছিলেন।

খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ঢাকা মাত্র তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে নিজের ছেলে আলম সর্দার। রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাৎক্ষনিক তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গ্রামবাসী আলম সর্দারকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়।

গ্রামের লোকজন জানান, আলম সর্দার ও তার বাবার মধ্যে বিরোধের জের ধরে আলম তার বউকে তালাক দেয়। বাবা-ছেলের মধ্যে আদালতে মামলাও চলছিল। সম্প্রতি বাবার জমিতে আলম নতুন বাড়ি তৈরী করলে সেই জমিও অন্য জায়গায় বাবা বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করে। সম্প্রতি সে বাবা-মাকে তাদের জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার চাপ দিচ্ছিল। যার জের ধরেই এসব হত্যাকাÐ হতে পারে।  

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাজী মোহাম্মদ আলী রাসেল গোনিউজকে জানিয়েছেন, শাহাদৎ সর্দারের আঘাত খুবই গুরুতর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষনিক রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোনিউজকে বলেন, অভিযুক্ত খুনিকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে।

নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, নেশাগ্রস্থ শাহ আলম ইয়াবা আসক্তিতে ছিল। পারবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এই নৃংশংস হত্যাকান্ড।

গোনিউজ২৪/কেআর

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর