গুমের অভিযোগে ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০১৭, ০৩:৫৩ পিএম
গুমের অভিযোগে ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরে গুমের অভিযোগে কোতোয়ালি থানার সাত কর্মকর্তাসহ ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন।

যশোর শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতাল এলাকার তৌহিদুল ইসলাম ওরফে খোকনের স্ত্রী হিরা খাতুন মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এইচএম শহিদুল ইসলাম, আমির হোসেন, হাসানুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজন গাজী, সেলিম মুন্সী, বিপ্লব হোসেন, সেলিম আহমেদ, কনস্টেবল আরিফুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, ড্রাইভার কনস্টেবল  মো. রমজান, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, আবু বক্কার, ড্রাইভার কনস্টেবল মিজান শেখ, কনস্টেবল মাহমুদুর রহমান, রাজিবুল ইসলাম, টোকন হোসেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ এপ্রিল সকাল ১০ দিকে বাদীর ছেলে সাঈদ ও তার বন্ধু শাওন  পৌর পার্কে বেড়াতে যায়। ঐদিন বেলা ১২টার দিকে সাক্ষী সাব্বির হোসেন ফোনে জানায় তার ছেলে সাঈদ ও শাওনকে পুলিশ ধরেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখেন পুলিশ ওই দুইজনকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এরপর বাদী ও সাক্ষীগণ যশোর কোতোয়ালি থানায় যান।

কিন্তু তাদের থানার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাদী ও সাক্ষীগণ থানার সামনে বসে ছিল। তারপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১ ও ২ নম্বর আসামি বাদীকে ডেকে ছেলেকে ছাড়াতে দুই লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। সাক্ষীরা বাদীকে বোঝায় পুলিশকে টাকা দেয়ার দরকার নেই।

আদালতে চালান দিলে সেখান থেকে জামিন নেওয়া যাবে। কিন্তু ৭ এপ্রিল পত্রিকার নিউজে তারা জানতে পারে, সাঈদ ও শাওন পালিয়েছে।  থানায় ও আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বাদীর ছেলে ও তার বন্ধু পালিয়েছে। সেই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই দুজনকে আসামি করা হয়েছে। এরপর বাদী আসামিদের কাছে গিয়ে ছেলের সন্ধান চাইলে খারাপ আচরণ করা হয়। কোন উপায় না পেয়ে ৩০ মে বাদী সংবাদ সম্মেলন করেন। তাতেও কোন সন্ধান মেলেনি। বাদীর ধারণ ঘুষের দুই লাখ টাকা না দেওয়ায় আগামিগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে। অসহায় বিভিন্নস্থনে ঘুরেও ছেলের সন্ধান পায়নি।

এদিকে মামলার পর যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, সন্ত্রাসী সাঈদ ও শাওনের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। আটকের পর ওই দুইজন পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে। তাদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আর মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক হিসাবে দাবি করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার। তিনি বলেছেন, কুচক্রি মহলের ইন্ধনে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যই মামলাটি করা হয়েছে।

গোনিউজ২৪/কেআর

 

 

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর