ছেলেধরা নয়, বলাৎকারের পর ভয়ে শিশুর মাথা কেটে ফেলে রবিন


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম
ছেলেধরা নয়, বলাৎকারের পর ভয়ে শিশুর মাথা কেটে ফেলে রবিন

নেত্রকোনায় শিশু সজীবকে বলাৎকারের পর গলা কেটে হত্যা করে রবিন। প্রতিবেশীর ছেলে সজীবকে ফুসলিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের তিনতলার একটি কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করা হয়। পরে ভয় ও আতঙ্কে গলা কেটে হত্যা করে শিশুটির মাথা ব্যাগে নিয়ে মদ খেতে যায় রবিন।

শিশু সজীবের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া। 

নেত্রকোনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৮ জুলাই) সজীবের (৭) কাটা মাথা ব্যাগে নিয়ে ঘোরাফেরা করার সময় নেত্রকোনা শহরের নিউ টাউন এলাকায় জনতার হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে নিহত হয় রবিন।

ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে এটা গুজব। যারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নিহত রবিন শহরের পূর্ব কাটলি এলাকার এখলাছুর রহমানের ছেলে। সে মাদকাসক্ত ছিল। গলা কেটে হত্যার শিকার শিশু সজীব একই এলাকার রিকশাচালক রইছ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় এ দুটি মামলা হয়।

শিশু সজীব মিয়া হত্যা মামলার বাদী বাবা রইছ উদ্দিন। গণপিটুনিতে নিহত রবিন মিয়ার মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। রবিনকে হত্যার ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের এসআই রফিক বাদী হয়ে মামলা করেন।

গো নিউজ২৪/আই

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর