লাশের মূল্য ২০ হাজার টাকা!


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯, ০৩:০৫ পিএম
লাশের মূল্য ২০ হাজার টাকা!

ঠাকুরগাঁও: জেলার হরিপুরে গরু জব্দ করার জেরে মঙ্গলবার বিজিবির সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। বুধবার দুপুরে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বহরাম ও রুইয়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের লোকদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।

এদিকে সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ডা. কামরুজ্জামান সেলিম।

এলাকাবাসী জানায়, বহরমপুর গ্রামের হবিরর রহমান কয়েকদিন আগে রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ হাট থেকে দুটি গরু কিনে আনে। সেই গরু মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় যাদুরানী বাজারে বিক্রি করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। যাদুরানী মহাবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বেতনা ক্যাম্পের বিজিবি’র সদস্যরা ভারতীয় গরু মনে করে রাস্তা থেকে ভটভটিসহ গরু দুটি আটক করে ক্যাম্পের উদ্যোশে রওনা হয়। গরু বহনকারী ভটভটিসহ গরু দুটি হবিরর রহমানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার পরিবারের লোকজন গাড়িটি আটকিয়ে বিজিবি’র কাছে জানতে চায়- কি কারণে তাদের গরু আটক করা হলো। উত্তরে বিজিবি সদস্যরা বলেন- ভারতীয় গরু তাই আটক করা হয়েছে। এসময় গরুর মালিক গরু ক্রয়ের কাগজপত্র বিজিবিকে দেখায়। তবুও বিজিবি সদস্যরা গরু দিতে অস্বীকৃত জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিজিবি-গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিজিবি গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রায় আধা ঘণ্টা যাবত বিজিবি শতাধিক রাউন্ড এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বহরমপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী জয়নাল এবং রুইয়া গ্রামের নবাব ও সাদেক। গুলিবিদ্ধ হন আরো ১৬ জন।

এদিকে তিন গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর থেকে সীমান্তের গ্রামগুলোয় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যেই বিজিবি ৫০ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার জানিয়েছেন, সশস্ত্র চোরাকারবারিরা তাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। এ কারণে আত্মরক্ষায় তারা গুলি ছুড়তে বাধ্য হন। এবং রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গো নিউজ২৪/এমআর

 

 

 

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর