দীপু মনির জনসভা পণ্ড, উত্তপ্ত টাঙ্গাইল


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০১৮, ০৩:২৪ পিএম
দীপু মনির জনসভা পণ্ড, উত্তপ্ত টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল: আসন্ন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে পণ্ড হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা. দীপু মনির জনসভা। গোপালপুর পৌর শহরে জুতা মিছিল বের করেছে উত্তেজিত দলীয় নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও গোপালপুর ও ভূঞাপুরে নির্মিত তোরণ ও বিলবোর্ড ভেঙে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় এমপি ও তার ছেলের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় শুক্রবার মধ্যরাতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দীপু মনির জনসভা। কয়েকদফা পিছিয়ে আজ দুপুরে এই জনসভা করার কথা ছিলো।

এদিকে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নামে গত ১৩ই অক্টোবর উপজেলার হেমনগর কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভা আহবান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি করা হয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে।

কিন্তু আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান তার পুত্র খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলকে ওই জনসভায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে দু’উপজেলাতেই। তখন থেকেই ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তানভীর হাসান ছোট মনির, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতির লোকজনের মাঝে।

এমপি ও এমপিপুত্রের কুশপুত্তলিকা দাহ

পরে ওই তারিখ পরিবর্তন করে ১৬ই অক্টোবর এবং পরবর্তীতে ১৯ই অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দূর্গা পুজার দশমীর কারণে আবারো পিছিয়ে ওই জনসভা পরদিন শনিবার (আজ) দুপুর ২টায় করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ কোন্দল নিরসন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মতি ছাড়াই স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামানের একক সিদ্ধান্তে শনিবার জনসভার দিন ঘোষণা দেয়া হয়।

এতে আওয়ামী লীগের অপর চার মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাদের অনুসারি নেতাকর্মীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালপুর পৌর শহরে জুতা মিছিল বের করে।

মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার মশিউজ্জামানের বিরুদ্ধে জুতা মিছিল   

এছাড়াও গোপালপুর ও ভূঞাপুরে নির্মিত তোরণ ও বিলবোর্ড ভেঙে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাহ করা হয় এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামান ও তার ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের কুশপুত্তলিকা। মঞ্চ পাহারায় নিয়োজিত রাখা হয় পুলিশ।

সন্ধ্যার পর থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হতে থাকে। দেখা দেয় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে মধ্যরাতে বন্ধ হয়ে যায় দীপু মনির জনসভা।

এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন বলেন, জনসভার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল। কিন্তু আয়োজকরা স্বেচ্ছায় তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।  

গো নিউজ২৪/এমআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর