রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৭, ০৫:১৬ পিএম
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত

রাজশাহী: স্থগিত করা হলো রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন। সোমবার সকালে জেলা যুগ্ম জজ আদালত-১ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই নির্বাচন স্থগিত রাখার আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এই মামলার আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করেছেন। কিন্তু এই সময়ের পরে কী হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে, সে ব্যাপারেও তারা কোনো নির্দেশনা পাননি। 

আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিবেন, সেভাবেই নির্বাচন হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ২৪ মে সংগঠনটির ভোটগ্রহণ হয়েছিল। 

তবে রাতে ভোটগণনার সময় শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। নির্বাচন কমিশনারদের পিটিয়ে ব্যালট ছিনতাই, গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে। ফলে ওই দিন নির্বাচন হলেও ফল ঘোষণা প- হয়ে যায়। পরে নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগ করেন।

নির্বাচনের ফল না হওয়ায় পরে শ্রমিক ইউনিয়নের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। 

এরপর শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক আলমগীর কুমকুম নিজেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে এই নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন। কিন্তু এই নির্বাচন ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র মোতাবেক হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন শ্রমিকদের একাংশ।

তাদের অভিযোগ, নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। 

এতে অযোগ্যদের ভোটার করা হয়েছে আর বাদ দেয়া হয়েছে যোগ্যদের। তাছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হতে না পারলেও পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির চেয়ারম্যানসহ তিনজনই সরকারি কর্মকর্তা। আবার তফশিল ঘোষণার একমাস পর এবং তিনমাসের ভেতর ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও এই নির্বাচনে মাত্র সাত দিন পরই ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছিল।

গত ১২ অক্টোবর কামরুজ্জামান টুটুল নামে একজন শ্রমিক নেতা নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। টুটুল বলেছিলেন, তিনি যোগ্য হলেও ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। অথচ তিনি এই নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়তেন। তার আবেদন আমলে নিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখা দেয়ার জন্য আদালত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাঠিয়ে তলব করেন।

পরে রোববার তিনি আদালতে হাজির হন। এ সময় চেয়ারম্যান আলমগীর কুমকুমের পক্ষে জহুরুল ইসলাম নামে একজন আইনজীবী আদালতে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরদিন আদালত এই নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিলেন। 

আলমগীর কুমকুম বলেন, তিনি কাগজপত্রের অপেক্ষায় আছেন। কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

গোনিউজ২৪/পিআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর