উত্তরে কমছে পানি বাড়ছে ভাঙন


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৭, ০৬:০৩ পিএম
উত্তরে কমছে পানি বাড়ছে ভাঙন

রংপুর: রংপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বেড়েছে নদী ভাঙন। ফলে গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকাবাসী রয়েছেন ভাঙন আতঙ্কে।

এদিকে বন্যা কবলিত জনপদে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য এবং গো-খাদ্যের।  প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী না পাওয়ায় বানবাসি মানুষদের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে।

মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, কোলকোন্দ, লক্ষ্মিটারি, মর্ণেয়া ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রায় ৬ শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। নদীর স্রোতে ভেসে গেছে বনজ ও ফলজ হাজার হাজার গাছ। 

নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বন্যার পানি কমতে থাকায় মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে তার ইউনিয়নের আওতায় প্রায় ৪’শ ঘরবাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। ওই সব পরিবার শহর রক্ষা বাঁধ ও বিভিন্ন উঁচু জায়গাসহ তাদের স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারি ভাবে যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায় নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা জানান, বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।

এদিকে একই অবস্থা বিরাজ করছে জেলার কাউনিয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায়। 

অর্দ্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে খেটে খাওয়া হত-দরিদ্র মানুষদের। এ উপজেলার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের ৫/৬ টি গ্রামে প্রায় দু’শ বসববাড়িসহ নদীতে তলিয়ে গেছে, ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১’শ হেক্টর ফসলী জমির ধান ও অন্যান্য ফসল। হাহাকার নেমে এসেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে।

পীরগাছা উপজেলায় অন্য দু’উপজেলার চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে ক্ষতিগ্রস্তদের। এ উপজেলায় শুধুমাত্র ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বন্যার পানি কমতে থাকায়  নদী তীরবর্তী মানুষেরা ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকের বাড়িঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই তাম্বুলপুর ইউনিয়নের দ্বিতল বিশিষ্ট শীবদেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের অধিকাংশই নদীতে ধসে গেছে। ফলে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। দু’ইউনিয়নের ৩৫ হাজার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মধ্যে ১১ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে। কাজ না থাকায় খেটে খাওয়া মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে।

গোনিউজ২৪/পিআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর