বেড়েছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ


জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০১৭, ০২:২৬ পিএম
বেড়েছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ

দিনাজপুর: দিনাজপুরে আত্রাই নদীর পানি কিছুটা কমলেও ইছামতি, পুর্নভবা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে বেড়েছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ।

গতকাল মঙ্গলবার পার্বতীপুরে তিলাই নদীর বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে আতাবুর রহমান (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি পার্বতীপুর পৌর এলাকার নামাপাড়া মহল্লায়।

দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে যান চলাচল আংশিক শুরু হলেও দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বেশ কিছু এলাকায় পানি থাকায় দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এখনও যান চলাচল শুরু হয়নি। দিনাজপুরের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 

পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর (৩৪ কিলোমিটার) আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে মাটি ধসে যাওয়ায় এবং বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত তিনদিন ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

দিনাজপুর শহরের পুনর্ভবা নদীর তুতবাগান এলাকায় ভেঙে যাওয়া শহররক্ষা বাঁধ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সোমবার মেরামত কাজ শুরু করলেও এখনও তা শেষ হয়নি।

এখনও দিনাজপুর শহরের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে। গ্রামাঞ্চলেও তেমন পানি না কমায় বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না গৃহহীন মানুষ। বিভিন্ন বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে তারা বসবাস করছে।

পার্বতীপুর রেলস্টেশন মাস্টার শোভন রায় জানান, রেলওয়ের উল্লেখিত রুটগুলোতে বন্যার পানি সরে যাওয়ার পরে সংস্কার ও মেরামত কাজ শেষে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে। 

স্টেশন মাস্টার আরও জানান, আন্তঃনগর একতা ও দ্রুতযান ট্রেন দুটি ঢাকা-দিনাজপুরের পরিবর্তে পার্বতীপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচল করছে। আন্তঃনগর দোলনচাঁপা ট্রেন দিনাজপুরের পরিবর্তে পার্বতীপুর-রংপুর-কাউনিয়া-বগুড়া ও সান্তাহারের মধ্যে চলাচল করছে।

বন্যা কবলিতদের মাঝে ইতোমধ্যে ১৬২ মে.টন চাল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছে নগদ ৭ লাখ টাকা। আরও ৩০০ মে.টন চাল ও ৫০ লাখ টাকা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

বন্যা কবলিত মানুষজনের খোঁজখবর ও তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। তিনি বলেন, ‘বন্যা কবলিত মানুষজনের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে যতটা সম্ভব কাজ করা হচ্ছে।’

এদিকে বুধবারের মধ্যেই শহর ও গ্রামাঞ্চলের পানি সম্পূর্ণ নিচে নেমে যাবে বলে আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সিদ্দিকুজ্জামান খান জানান, দিনাজপুর পুর্নভবা নদীর পানি বিপৎসীমা ৩৩.৫ মিটার আর প্রবাহিত হচ্ছে ৩৪.০০ মিটারে। একইসঙ্গে ইছামতি নদীর পানি বিপৎসীমা ২৯.৯৫ মিটার আর প্রবাহিত হচ্ছে ৩০.১২ মিটার দিয়ে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে আত্রাই নদীর। এই নদীর বিপৎসীমা ৩৯.৬৫ মিটার আর প্রবাহিত হচ্ছে ৩৮.৯৫ মিটার দিয়ে।

গো নিউজ২৪/এমবি

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর