দুই বোনকে অচেতন যা করল দুই ‘চিকিৎসক’


জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৭, ১২:০৩ পিএম
দুই বোনকে অচেতন যা করল দুই ‘চিকিৎসক’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় দুই চাচাতো বোনকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পল্লী চিকিৎসক ও কবিরাজের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পল্লী চিকিৎসক নরেন চন্দ্র রায় ও কবিরাজ বালিশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকার দুই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার কবিরাজ বালিশ্বর চন্দ্র রায়ের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এরই সুবাদে ওই দুই চাচাতো বোন কবিরাজ বালিশ্বরকে নানা বলে সম্বোধন করেন। কবিরাজ দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই কিশোরীর বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে থাকেন। 

গত বুধবার বিকেলে পরিকল্পিতভাবে পাত্র দেখতে আসবে বলে ওই দুই কিশোরীকে কবিরাজ তার বাড়িতে আসতে বলেন। কবিরাজের কথায় বিশ্বাস করে পরিবার দুই কিশোরীকে পাঠিয়ে দেয়। 

পরে কবিরাজ এলাকার পল্লী চিকিৎসক নরেন চন্দ্র রায়কে তার বাড়িতে ডেকে এনে দুই বোনকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে দু’জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। 

পরের দিন ভোরে ওই দুই কিশোরীকে বাড়ি যাওয়ার জন্য কবিরাজ একটি অটোরিকশায় তুলে দেন। কিছুদূর যাওয়ার পর তারা আবারো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। 

এলাকাবাসী অচেতন অবস্থায় তাদের দেখে পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। 

কিশোরীরা তাদের ধর্ষণের কথা জানালে এলাকাবাসী কবিরাজ বালিশ্বর ও চিকিৎসক নরেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ টালবাহানা করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে। 

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জিন্নাহ পারভীন জানান, ওই দুই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই বুঝা যাবে ধর্ষণ হয়েছে কি না। 

সদর থানা পুলিশের এসআই মো. হানিফ জানান, ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে জনগণ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পরে ভিকটিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ওই দুই কিশোরীকে আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

গো নিউজ২৪

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর