লঞ্চে কেন আগুন লাগল? কেমন ছিল অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা


জাতীয় ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২১, ১২:৫৬ পিএম
লঞ্চে কেন আগুন লাগল? কেমন ছিল অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বেঁচে গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।  লঞ্চে কেন আগুন লাগল এ নিয়ে নানা কৌতুহল রয়েছে অনেকের মনে।  

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক পরিচালক মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেন, সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে রাসায়নিক পদার্থ ছিল, যার বড় অংশ ছিল কেরোসিন। এ ছাড়া  দাহ্যপদার্থ লুব্রিকেট ও হাইড্রোলিক অয়েল ছিল। পাশের স্টোর রুমেও ছিল বিপুল পরিমাণ তেল। এসব পদার্থ লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে থাকলে যেমন নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হয়, তা ওই লঞ্চে ছিল না। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক পরিচালক বলেন, ইঞ্জিন রুমের তেলের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরলে ড্রাম গরম হয়ে ভেতর থেকে তেল বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। মুখ বন্ধ থাকায় বেরিয়ে আসতে না পারায় কয়েশ টন শক্তি উৎপাদন করে ড্রামগুলো বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরিত হলে আগুনের তীব্রতা আরও বাড়ে। এর পর পাশের ড্রামগুলোও বিস্ফোরিত হতে থাকে। বিস্ফোরণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেরোসিন তেলে আগুন লাগলে প্রচুর কালো ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিন রুম পানির মধ্যে হওয়ায় ধোঁয়া পাইপসহ বিভিন্ন ফাঁকা দিয়ে ওপরে চলে যায়। ধোঁয়ায় জন্য দম বন্ধ হয়ে মানুষ মারা যায়।

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর