ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কিছুই বলেননি।
এরপর খালেদার আইনজীবীরা দেখা করতে চাইলেও তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়নি। সর্বশেষ শনিবার খালেদার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান ৫ আইনজীবী। যার মধ্যে ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার খন্দকার মাহাবুব হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার আব্দুর রেজ্জাক খান।
কারাগারে খালেদার সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মওদুদ আহমেদ। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে এছাড়া সাধারণ কয়েদীদের যা খেতে দেওয়া হয়, খালেদাকেও তা-ই দেওয়া হয়েছে, যা প্রায় অখাদ্য।
পাশাপাশি এও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার আবেদন করা হলেও তাকে এ পর্যন্ত কারাগারে যেতে দেয়া হয়নি।
রায়ের আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গো নিউজ২৪.কম-এ প্রথম ফাতেমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। (সাজা হলে ফাতেমাকেও প্রস্তুত থাকতে বললেন খালেদা!) । এর পর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম খালেদার সঙ্গে ফাতেমা থাকবেন বলে উল্লেখ করে।
রায়ের পরেও গণমাধ্যম গুলোতে আসতে থাকে, আবেদনের প্রেক্ষিতে গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে খালেদার সঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছে আদালত।কারাগারের যে কক্ষে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে তার পাশেই একটি কক্ষে ফাতেমা থাকবেন। কারা কর্তৃপক্ষের বরাতেও ফাতেমা সর্বক্ষণ খালেদার সঙ্গে থাকেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তার ব্যক্তিগত গৃহকর্মী ফাতেমা। তার দেখাশোনার এবং যাবতীয় কাজ ফাতেমাই করে দিচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে।
এমন কি জাতীয় একটি অনলাইনে কারাগারে যাওয়ার সময় গাড়িতে খালেদার পাশে ফাতেমা বসে আছেন এমন ছবিও প্রকাশ পেয়েছে।
তাহলে এখন কোথায় ফাতেমা...?
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।
মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।
গো নিউজ২৪/আই