খালি পেটে ডিম – একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সকাল উঠেই যদি একটা করে ডিম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের নানা উপকারে লাগে। সেই সঙ্গে যে যে মারণ রোগগুলি এখন দাপিয়ে বেরাচ্ছে, সেগুলির প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। তাই তো প্রতিদিন সকালে একটা করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে প্রোটিন এবং আরও নানা সব কার্যকরী উপাদানে ঠাসা এই খাবারটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যে যে কাজগুলি করে থাকে, সেগুলি হল…
(১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: ডিম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এটা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে, কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়, সেই সঙ্গে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, ব্রেকফাস্টে যদি একটার জায়গায় দুটো করে ডিম খাওয়া যায়, তাহলে বেশি উপকার মেলে।
(২) এনার্জির ঘাটতি দূর করে: সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর কাজের জন্য প্রয়োজন এনার্জির। তাই তো দাঁত মাজার পর টপ করে একটা ডিম সিদ্ধ খেয়ে নিতে হবে। তাহলেই দেখবেন ক্লান্তি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
(৩) দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: ডিমে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটিন এবং জিয়েক্সসেনথিন নামে বেশ কিছু উপকারি উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ছানি হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। খালি পেটে ডিম …
(৪) প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে: ডিমে উপস্থিত অ্যালবুমিন নামে এক ধরনের প্রোটিন পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এনার্জি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও সকাল সকাল ডিম খাওয়াটা জরুরি। প্রসঙ্গত, যারা সকালে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তারা ডিম খেতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে দেখবেন একাধিক রোগ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
(৫) মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: বুদ্ধির জোর বারাতে কে না চায় বলুন! আপনিও যদি সেই দলে থাকেন, তাহলে কাল সকাল থেকেই ডিম খাওয়া শুরু করুন। আসলে ডিমে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের ক্ষমতা মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, তেমনি স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ডিমে কোলিন নামে একটি উপাদান থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। খালি পেটে ডিম …
(৬) ওজন কমতে শুরু করে: ডিম খেলে ওজন বাড়ে না। বরং কমে! পেনিংটন বায়োমেডিকাল রিসার্চ সেন্টারের করা এক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সকাল সকাল ডিম খেলে দিনের অনেকটা সময় পর্যন্ত ক্ষিদে পায় না। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ওজন কমতে শুরু করে। তাই যারা ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়ম করে ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
প্রসঙ্গত, পোচ অথবা সিদ্ধ ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাতে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
গোনিউজ২৪/এমএএস