ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জেলখানাই এখন নিরাপদ তাদের কাছে


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুন ৩, ২০১৮, ০৭:২২ পিএম
জেলখানাই এখন নিরাপদ তাদের কাছে

ঢাকা : মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে বন্দুকযুদ্ধে শতাধিক নিহতের পর জেলকেই নিরাপদ মনে করছেন বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়ায় মাদক কারবারীরা।

দেশ ব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে মাদক মামলায় আটক থাকা আসামীদের মধ্যে। বিশেষ করে টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর কক্সবাজারের আদালতে মাদক মামলার আসামীদের জামিন আবেদনের সংখ্যা নেই বললেই চলে।

কক্সবাজারের জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বলছেন, অভিযান শুরুর পর আসামীদের জামিন আবেদন বা মুক্তির জন্য চেষ্টাই কমে গেছে। তিনি বলেন, রোববার কক্সবাজার কারাগারে মোট বন্দী সংখ্যা তিন হাজার ১৭৩ জন এবং মোট বন্দীর মধ্যে বেশিরভাগই অর্থাৎ ৬৫ ভাগই মাদক বিশেষ করে ইয়াবা মামলার আসামী। অভিযান শুরুর আগে গড়ে প্রতিদিন ১৫/২০ জন জামিনের আবেদন জানাতো আদালতে বা তারা মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতো। কিন্তু এখন গত কয়েকদিন আসামীদের পক্ষে এ ধরণের তৎপরতা একেবারেই কমে গেছে। অভিযান শুরুর পর থেকে প্রতিদিন মাত্র ১/২ জন আসামীর মধ্যে এ ধরণের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে।

পাবলিক প্রসিকিউটর মমতাজ আহমেদ বলছেন, ব্যাপক অভিযানের কারণে আদালত জামিন আবেদন প্রায় নেই বললেই চলে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের কারণে আদালতে আসামী পক্ষের আবেদন অনেকখানিই কমে গেছে। যদিও তিনি মনে করেন মামলাগুলোর তদন্তকারী কর্মকর্তারা সক্রিয় ও উদ্যোগী হলে এমন পরিস্থিতি হতো না।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত এই আদালতে মাদক মামলার আসামীদের জামিন হয় না। এখানে নামঞ্জুর হওয়ার পর আসামীরা উচ্চ আদালতে যান। আর আমাদের এখানে শিশু-কিশোর কিংবা নারী এমন আসামীরা হয়তো জামিন পেয়ে থাকেন। তারপরেও এখন যারা আটক আছেন তাদের দিক থেকে আইনজীবীদের তৎপরতা কম দেখা যাচ্ছে। যদিও চলমান অভিযানে কক্সবাজারে উল্লেখযোগ্য কোন মাদক ব্যবসায়ীই গ্রেফতার হননি।

একজন আইনজীবী বলছেন, আসামীদের জামিনের জন্য তাদের পক্ষে যারা আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করছিলেন তাদেরই এখন পাওয়া যাচ্ছেনা।

কক্সবাজারের আইনজীবী আব্দুর রহিম বলন, মাদকের বিশেষ করে ইয়াবা মামলার অনেক আসামী এখন জেলখানাকেই নিরাপদ জায়গা বলে মনে করছে।
বাইরে মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। তাই অনেকেই মনে করছেন এ সময়টা জেলেই থাকি।

এই আইনজীবীর মতে, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশের যোগসাজশ আছে। তারাও এ বিষয়ে অনেক অভিযুক্তকে সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, উখিয়াতে চিহ্নিত একজন মাদক কারবারি অভিযানের আগে পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরছিলো। এখন যখন অভিযান শুরু হলো তখনি তাকে আটক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরেকজন আইনজীবী মোহাম্মদ ইউছুপ জানান, তার হাতে এমন দু’একটি মামলা আছে যাতে আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ আনা হয়েছে কিন্তু অভিযান শুরুর পর থেকে আসামীদের তরফ থেকে কেউ তার সাথে যোগাযোগই করছেন না।

সূত্র-বিবিসি


গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী