ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুইস ব্যাংকে কার কত টাকা, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৯:৫৪ পিএম
সুইস ব্যাংকে কার কত টাকা, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকে গোপনে কার কত টাকা পাচার করে পাঠানো হয়েছে বা আছে তার তথ্যসহ তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাচার হওয়া ওইসব টাকা ফেরত আনতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। প্রতিবেদন দাখিলের পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

একইসঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অর্থপাচারের ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য কেন একটি আলাদা তদন্ত টিম গঠনের নির্দেশ দেয়া হবে না এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না কিংবা অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনে নতুন কোনো আইন করতে বলা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাসের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে আব্দুল কাইয়ুম খান নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে সুইস ব্যাংকে থাকা টাকার বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদনও করা হয় রিট পিটিশনে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি তালিকা চেয়ে আদেশ দেন আদালত।

এছাড়া সুইচ ব্যাংক থেকে টাকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বিএফআইইউকে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা সেটা করছে।

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর
জামিন পেলেন মামুনুল হক

জামিন পেলেন মামুনুল হক

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী  ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড