ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এত তর্ক করছেন কেন?


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০১৯, ০৯:২৮ পিএম
এত তর্ক করছেন কেন?

রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার। এদিন শুনানিতে আনা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। 

আদালতে তাকে বসতে দেওয়া হয় উঁচু দেয়াল করা স্থানে। যেখানে থেকে বিচারককে দেখা যায় না বলে জানান খালেদা জিয়া।

আদালতে খালেদা জিয়া বলেছেন, আগে এখানে (খালেদা জিয়ার বসার জন্য নির্ধারিত স্থান) দেয়াল ছিল না। আমি কিছুই (বিচারককে) দেখতে পারছি না। যদি এভাবে আমাকে অপমানজনকই রাখতে হয়, তাহলে ডকে (আসামিদের রাখার জন্য নির্ধারিত স্থান) নিয়ে রাখুন।

এদিন চার্জ (অভিযোগ) গঠন সংক্রান্ত শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ আদেশ দেন।

দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়। হুইলচেয়ারে আসা খালেদা জিয়া এ সময় হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি পরা ছিলেন। এদিন তাকে আদালতের ডকে না রেখে তার জন্য অল্প উঁচু করে দেয়াল তৈরি করে বিচারকের পাশেই পৃথক এক স্থানে রাখা হয়।

কিছুক্ষণ পরই এজলাসে বিচারক প্রবেশ করলে বিচারকাজ শুরু হয়।

শুরুতেই আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মাসুস আহমেদ তালুকদার আদালতের উদ্দেশে বলেন, উনাকে (খালেদা জিয়া) যেখানে বসানো হয়েছে, সেখান থেকে আপনাকে (বিচারক) দেখা যায় না। প্রয়োজনে তাকে (খালেদা জিয়াকে) জিজ্ঞাসা করুন।

তখন খালেদা জিয়া বলেন, আমি আপনাকে (বিচারক) দেখতে পারছি না। বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীদের এ বিষয়টি নিয়ে এত কথা না বাড়িয়ে শুনানি চালিয়ে যেতে বলেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, উনাকে (খালেদা জিয়া) সামনে নিয়ে আসুন। বিচারককে দেখাতে পারা আসামির অধিকার।

বিচারক বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বসুন, পরবর্তী করা হবে। তাতেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মানতে নারাজ হলে বিচারক তাদের উদ্দেশে বলেন, আজকের কার্যক্রম শেষ হোক। আগামীতে করা হবে। এ নিয়ে এত তর্ক করছেন কেন?

প্রত্যুত্তরে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমরা তর্ক করছি না। আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু ডিজগাস্টিং (বিরক্তিকর) উপায় করলে আমরা কীভাবে আপনাকে সহযোগিতা করব তা ভাবতে হবে।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এভাবেই সঠিক আছে। এটা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। এ সময় খালেদা জিয়া বলেন, এটা (বসার স্থান) এভাবে (দেয়াল করে পৃথক করা) ছিল না। আর এত পুলিশ আমাকে ঘিরে রেখেছে কেন? আমি কিছুই দেখাতে পারছি না। যদি এভাবে অপমানজনকই রাখতে হয়, তাহলে ডকে নিয়ে রাখুন। তখন বিচারক পুলিশদের সরে যেতে নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী সময়ে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।

এ সময় আসামিপক্ষের অপর আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উনাকে (খালেদা জিয়া) পেশকারের পেছনে রাখা হয়েছে। এটা নিন্দনীয় ও অপমানজনক। এরপর বিচারক শুনানি শুরু করার নির্দেশ দেন।

গো নিউজ২৪/আই

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর
জামিন পেলেন মামুনুল হক

জামিন পেলেন মামুনুল হক

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী  ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড