কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের বিশেষ তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেকেই অধিক মুনাফা লাভের আশায় পশুকে ভিটামিনের নামে বিভিন্ন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয়। এমনকি রেয়েডের মতো হরমোন ইনজেকশনও পুশ করা হয় গবাদি পশুকে। ফলে অতি দ্রুত গবাদি পশু অস্বাভবিকভাবে মোটা হয় বটে। কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে এই সব পশু মোটাতাজা করার ফলে অধিকাংশ পশুই অসুস্থ থাকে। যার ফলে কোরবানি পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, এসব পশুর মাংস খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কোরবানি একটি ইবাদাত। তাই সবাই চায় সাধ্যমতো ভালো পশু কোরবানি করতে। আর এই সুযোগে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তার স্বাস্থ্য ও জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না।
কোরআনে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন ইরশাদ হয়েছে, মানুষের মাঝে কিছু আছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ পাক ও আখেরাতের উপর ঈমান এনেছি, কিন্তু এরা মুমিন নয়। এরা আল্লাহ পাক ও তাঁর বান্দাদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে, যদিও তাদের অন্য কাউকে নয়, নিজেদেরই ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে, যদিও তাদের কোনো প্রকারের চৈতন্য নেই। (সূরা বাকারা: ৮-৯)।
যারা কৃত্রিম উপায়ে কোরবানির পশু মোটাতাজা করে। তারা সবাই কিয়ামতের মাঠে ধোঁকাদানকারী অর্থাৎ শয়তানের দলভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে। যে ব্যক্তি অপর একজনকে ধোঁকা দিলো সে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করল। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণকারীদের জন্য আল্লাহ কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।
গো নিউজ২৪/এমআর