ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামে নারী-পুরুষের পরস্পর দৃষ্টিপাতের হুকুম


গো নিউজ২৪ | ইসলাম ডেস্ক: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮, ১১:০০ এএম
ইসলামে নারী-পুরুষের পরস্পর দৃষ্টিপাতের হুকুম

ইসলাম ডেস্ক: ইসলাম মানবজাতির আদর্শ জীবনব্যবস্থা। মানুষের চলন-বলন থেকে শুরু করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের অনিন্দ্য সুন্দর বিধিবিধান ও আদর্শ রয়েছে। যা পালনে মানুষের ইহকাল এবং পরকাল শান্তিতে কাটবে। সমাজে ছড়াবে না অশান্তির বীজ।  পথেঘাটে হয়রানি হবে না মা বোন। ইজ্জত-আবরু হরণ হবে না মস্তিষ্কবিকৃত আত্মভোলা মানুষের হাতে। নির্দিধায় চলতে পারবে প্রত্যেক নর নারী। এজন্য প্রয়োজন নারীদের পরপুরুষের সামনে চলাফেরার সময় পর্দাবৃত হয়ে বের হওয়া এবং পুরুষদের পরনারীদের দিকে দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকা।

কেননা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আপনি ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গকে হেফাজত করে এবং তাদেরকে যা প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাছাড়া অন্য কিছুর সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভ‚ক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।

হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা আন-নূর: ৩২) সূরা নূরের একত্রিশ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুমিন পুরুষদের দৃষ্টি সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বত্রিশ নং আয়াতে নারীদের প্রতি অর্থাৎ ঈমানদার নারীদের দৃষ্টি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মুমিন পুরুষদেরও দৃষ্টি অবনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাস্তা-ঘাটে হাট-বাজারে অনেক সময় অনাকাঙ্খিতভাবে পরনারী সামনে চলে আসে। ফলে হঠাৎ তার প্রতি অনাকাঙ্খিত দৃষ্টি পড়ে যায়। এমন দৃষ্টিকে রাসূল সা. ক্ষমাযোগ্য বলে ঘোষণা করেছেন।

এ পরিস্থিতি সম্পর্কে হযরত আলী রা. রাসূল সা. কে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে রাসূল সা. বলেন- হে আলী, অনাকাঙ্খিত দৃষ্টি পড়ে গেলে পুনরায় তুমি দৃষ্টি দিও না। কেননা প্রথম দৃষ্টি তোমর জন্য ক্ষমাযোগ্য কিন্ত পুনরায় দৃষ্টিপাত করা তোমার জন্য ক্ষমাযোগ্য নয়। (তিরমিযি শরীফ-২৭৭৭)

ইমাম গাযালী রহ. বলেন কুদৃষ্টি অন্তরে খটকা তৈরি করে। পরে তা কল্পনায় রূপ নেয়। কল্পনা জৈবিক তাড়নাকে উসকে দেয়। আর জৈবিক তাড়না ইচ্ছার জন্ম দেয়। সুতরাং পরনারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়ার পরই ব্যভিচারের ইচ্ছা জাগে। ব্যভিচারের প্রথম সিঁড়ির নাম হল কুদৃষ্টি। ব্যভিচার থেকে বাঁচতে হলে তার প্রথম ধাপ কুর্দষ্টি পরিহার করতে হবে।   মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দৃষ্টি হেফাজত করার তৌফিক দান করুক। আমীন

গো নিউজ২৪/এমআর

 

 

ইসলাম বিভাগের আরো খবর
তাবলিগের বিরোধটা আসলে কোথায়

তাবলিগের বিরোধটা আসলে কোথায়

ওয়াজ মাহফিল সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের অনুরোধ

ওয়াজ মাহফিল সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের অনুরোধ

নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ না করলে নামাজ হবে?

নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ না করলে নামাজ হবে?

আশুরার দিনে যে দুইটি আমল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

আশুরার দিনে যে দুইটি আমল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

পবিত্র আশুরা ২৯ জুলাই

পবিত্র আশুরা ২৯ জুলাই

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান