মুসলিম উম্মাহর জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন- হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া বা পরহেজগারী অর্জন করতে পার। (সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৩)
রোজা রাখতে অপারগ ব্যক্তির জন্য শর্ত সাপেক্ষে অব্যহতির সুযোগ রয়েছে। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেলবে বা নষ্ট করবে, তাদের জন্য রোজার কাযা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে।
যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে তবে পরে কাজা করতে হয়
১. মুসাফির অবস্থায়। ২. রোগ বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে। ৩. গর্ভের সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে। ৪. এমন তৃষ্ণা বা ক্ষুধা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে। ৫. শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে। ৬. কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে। ৭. মেয়েদের হায়েজ-নেফাসকালীন সময় রোজা ভঙ্গ করা যায়। আর যেসব কারণে রোজার কাজা ও কাফফারা দুটোই ওয়াজিব হয় তা হলো, জেনেশুনে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে। এমতাবস্থায় কাজা ও কাফফারা দুটোই ওয়াজিব হয়।
মনে রাখবেন, শরিয়তে কঠোর নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তার অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব। যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে। কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট।
গো নিউজ২৪/এমআর