পাকিস্তানের করাচিতে প্রখ্যাত আলেম মুফতি তাকি উসমানীর গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার তাকি উসমানীকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় তিনি ও তার স্ত্রী প্রাণে বেচেঁ গেলেও ২জন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
ডন জানিয়েছে, তাকি উসমানিকে বহনকারী গাড়িসহ অপর একটি গাড়িতে হামলা চালানো হয়। দুটি গাড়ির কাঁচ ভেদ করে গুলি ঢুকে পড়ে। এতে তাকি উসমানী ও তার স্ত্রী আহত হয়েছেন। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল করাচির হাইওয়ের কাছাকাছি ফয়সাল নার্সারির কাছে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে, পরে বলা হয়েছে গুলশান ইকবালের নাপাপুল এলাকার কাছে গুলিবর্ষণ হয়।
দারুল উলুম করাচির মুখপাত্র তালহা রহমানী জানিয়েছেন, আল্লামা তাকি উসমানী প্রাণে বেচেঁ গেছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে রয়েছেন।
এদিকে আল্লামা তাকি উসমানীর গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
অতিদ্রুত এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়ে ইমরান বলেন, বিশ্বখ্যাত এ আলেমকে হত্যাচেষ্টার পেছনে বড় কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, তা ও আমরা বের করার চেষ্টা করছি।
শুক্রবার দুপুরে চালানো এ প্রাণঘাতি হামলায় আল্লামা তাকি উসমানি প্রাণে বেচেঁ যাওয়ায় শুকরিয়া আদায় করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুফতি তাকি উসমানির মতো সম্মানিত ব্যক্তির ওপর এমন নৃশংস হামলার ভয়ানক কোনো
ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করে। তার মতো এমন ব্যক্তিত্ব পাকিস্তান ও মুসলিম বিশ্বের অমূল্য বড় সম্পদ।
উল্লেখ্য, আল্লামা তাকি উসমানী বিশ্বে খ্যাতিমান মুসলিম স্কলার হিসেবে পরিচিত। দারুল উলুম করাচির এ ভাইস প্রিন্সিপাল পাকিস্তানের প্রথম গ্রান্ড মুফতি শফি রহ. এর ছেলে এবং পাকিস্তানের বর্তমান গ্যান্ড মুফতি রফি উসমানির ছোট ভাই। তিনি পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের শরীয়া বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি।
গো নিউজ২৪/এমআর