ট্রাম্পের সম্পত্তি নিয়ে কথা উঠলে প্রথমে কিছুটা ধাঁধা লাগবে৷ তার ধনসম্পদ সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো খুঁজে পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের আয়কর কর্তৃপক্ষও৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযান থেকেও কোনো বিশদ খবরাখবর পাওয়া যায়নি, যেহেতু ট্রাম্প অপরাপর প্রার্থীদের মতো তার আয়করের খতিয়ান প্রকাশ করেননি৷
আর যে খবর প্রকাশ হচ্ছে তা আবার অন্যান্যদের হিসেবনিকেশের সঙ্গে মেলে না৷ ২০১৫ সালের জুন মাসে ট্রাম্প বলেন যে, তার সম্পদের মূল্য আটশ’ কোটি ডলারের বেশি৷ কিন্তু ফর্বসের হিসেব অনুযায়ী তার সম্পদ ৪১০ কোটি ডলার৷
২০১৫-র জুলাই মাসের মাঝামাঝি ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায় যে, তার বিত্তের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার৷ কিন্তু ব্লুমবার্গ সংবাদ সংস্থার মতে তখন ট্রাম্পের সম্পদ ২৯০ কোটি ডলারের বেশি নয়৷
ট্রাম্পের মোট সম্পত্তি নিয়ে যতই বিভ্রান্তি থাকুক না কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যে তার সম্পত্তির পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৬ সালে নির্বাচনে জয়ের পরই অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন এই মার্কিন নেতা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ডলার অর্থ সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। মাত্র দুই বছরে তিনি এ বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করলেন।
ফেডারেল ইলেকশন কমিশন ফাইলিংসের (এফইসি) বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
ফাইলিংসের তথ্য বলছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিনমাসে নিজস্ব ক্যাম্পেইন কমিটির মাধ্যমে ১ কোটি ৮১ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছেন ট্রাম্প। এছাড়া আরও দুটি কমিটিসহ ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলার সংগৃহীত হয়।
চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি কমিটি মিলে সংগ্রহ করেছে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। ট্রাম্পের তহবিল মূলত ক্ষুদ্র দাতাগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করেই এগোচ্ছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার কমিটিগুলো যে অর্থ সংগ্রহ করেছে তার ৫৬ শতাংশই এসেছে ২০০ ডলার বা তার নিচের দান থেকে।
গোনিউজ২৪/এআরএম