ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যেকোন বয়সেই হতে পারে ব্রেইন স্টোক


গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮, ০৮:৪৮ পিএম
যেকোন বয়সেই হতে পারে ব্রেইন স্টোক

স্ট্রোকের কারণে অল্প বয়সে, মাঝ বয়সে এমনকি ছোট বয়সে ঝরে যাচ্ছে বহু প্রাণ। আর তাইতো সম্প্রতি সময়ে মানুষের মৃত্যুর ৪র্থ কারণ হিসেবে ধরা হয় স্ট্রোককে। স্ট্রোক নানা কারণে হতে পারে। আর সঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা না করানো হয় তবে স্টোকের কারণে মৃত্যু ঘটে। তবে যদি ঠিকমত সময়ে ঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে রোগীটি প্রাণে বেঁচে যেতে পারে।

মূলত মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়ে আক্রান্ত অংশের কোষ নষ্ট হওয়াকে স্ট্রোক বা ব্রেইন স্ট্রোক বলে আখ্যায়িত করা হয়।  মস্তিষ্কের অংশবিশেষ নষ্ট হওয়ায় রোগীর দেহে বেশ কিছু শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয় যেগুলোকে স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন: প্যারালাইসিস, পা, হাত, মুখ অথবা শরীরের ডান বা বাম অংশ অবস হয়ে যাওয়া, কথা বলতে বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া, বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পতিত হওয়া, কথা জড়িয়ে আসা, একটা চোখে অথবা উভয় চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া, অথবা ঝাপসা দেখা, চলাফেরা করতে না পারা, চলাফেরায় ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রমে অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়া, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেওয়া।

প্রাথমিক অবস্থায় কারও স্ট্রোক দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত, তা না হলে রোগীর মস্তিষ্কের বেশি অংশ নষ্ট হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে অথবা রোগীর দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে ইসকেমিক স্ট্রোক হতে পারে অথবা রক্তনালি ফেটে গিয়েও হিমোরজিক স্ট্রোক হতে পারে। অল্প সময়ের (পাঁচ মিনিটের কম সময়ে) জন্য অজ্ঞান হওয়া, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা, কথা বলতে সমস্যা, শরীরের কোনো অংশ অবস হয়ে যাওয়া এবং পাঁচ থেকে দশ মিনিটের রোগীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে মিটি স্ট্রোক বলা হয়।

এ অবস্থাকে অবজ্ঞা না করে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। অধিক পরিমাণে লবন খাওয়া, চর্বি খাওয়া এবং রক্তে অতিমাত্রায় কোলেস্টেরলের উপস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। আমাদের দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ রোগী অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা হিসেবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যদিও স্ট্রোকের সঠিক কারণ নির্ণয় করা এখনো সম্ভব হয়নি।

তবে বেশকিছু শারীরিক অবস্থা স্ট্রোকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন- শারীরিক কর্মতৎপরতার অভাব, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস বিদ্যমান থাকা, বংশগতভাবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া ইতিহাসে বিদ্যমান। অতিমাত্রায় মদ্যপান ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হার্টের ভাল্বে সমস্যা অনিয়মিত হৃত্স্পন্দন, ইতিপূর্বে মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া।

 সূত্রঃওমেন্সকর্নার

গোনিউজ২৪/এমএএস

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর
করোনা নিয়ে হঠাৎ বড় দুঃসংবাদ

করোনা নিয়ে হঠাৎ বড় দুঃসংবাদ

দেশে এইডস রোগী বাড়ছে, বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সমকামীরা

দেশে এইডস রোগী বাড়ছে, বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সমকামীরা

বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা হারানোর পথে বাংলাদেশের এমবিবিএস ডিগ্রি

বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা হারানোর পথে বাংলাদেশের এমবিবিএস ডিগ্রি

বাংলাদেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বাংলাদেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

মশা নিধন যাদের দায়িত্ব, তাদের তা সঠিকভাবে পালন করতে হবেঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মশা নিধন যাদের দায়িত্ব, তাদের তা সঠিকভাবে পালন করতে হবেঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইউটিউব দেখে ফিজিওথেরাপি সেন্টার!

ইউটিউব দেখে ফিজিওথেরাপি সেন্টার!