‘ভাতে-মাছে বাঙালি’ প্রবাদটি এখনো একেবারে উঠে যায়নি। মাছের প্রশ্ন উঠলেই সবাই তাজা মাছ খোঁজেন। তাজা মাছ মানেই বুঝি পুষ্টি। বাজারে মাছের অন্য একটি সমাহার রয়েছে, সেটি হচ্ছে শুঁটকি মাছ। এই শুঁটকি বা শুকনো মাছের প্রতি নাক সিটকানো ভাব রয়েছে কারো কারো। তবে শুঁটকিপ্রীতি রয়েছে এমন লোকের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। তাজা মাছ ও শুকনো মাছের পুষ্টিগুণ নিয়ে সংশয় থাকতে পারে। প্রকৃত কথা হচ্ছে, তাজা মাছের চেয়ে শুকনো মাছ বা শুঁটকি মাছের খাদ্যশক্তি আমিষ ও অন্যান্য উপাদান অধিক পরিমাণে থাকে। এ সম্পর্কে তুলনামূলক তথ্যে ব্যাপারটি আরো স্বচ্ছভাবে তুলে ধরা যেতে পারে। যেমন ধরুন ভেটকি মাছের কথা। ১০০ গ্রাম তাজা ভেটকি মাছের খাদ্যশক্তি হচ্ছে ৭৯ কিলোক্যালরি। কিন্তু সমপরিমাণ শুকনো ভেটকি মাছে রয়েছে ২৬৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি।
প্রতি ১০০ গ্রাম মাছের মধ্যে তুলনামূলক ছক
মাছের নাম খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি) আমিষ
চেলা (তাজা) ১০৩ ১৪.৬
চেলা (শুকনো) ৪১৩ ৬৪.৮
টেংরা (তাজা) ১৪৪ ১৯.২
টেংরা (শুকনো) ২৫৫ ৫৪.৯
চাপা (তাজা) ৯২ ১৯.৯
চাপা (শুঁটকি) ২১০ ৩৮.৬
রূপচাঁদা ( তাজা) ১০৪ ১৮.১
রূপচাঁদা (শুকনো) ৩৮৩ ৭৬.১
পুঁটি (তাজা) ১০৬ ১৮.১
পুঁটি (শুঁটকি) ৩৬৪ ৮৮.৪
চিংড়ি (তাজা) ৮৯ ১৯.১
চিংড়ি (শুঁটকি) ৩৪৯ ৬৮.১
তাজা ও শুঁটকি মাছের তুলনামূলক উপরোক্ত ছক থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে শুকনো মাছের খাদ্যশক্তি ও আমিষের পরিমাণ তাজা মাছের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। শুঁটকি মাছের নাম শুনেই যাঁরা নাকে-মুখে রুমাল চাপেন, প্রকারান্তে তাঁরা নিজেদের অধিক পুষ্টি ও খাদ্যশক্তি থেকে বঞ্চিত করছেন না কি?
সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।
গো নিউজ২৪/আ ফ ম