ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফাঁসির রায় শুনে আসামি বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ 


গো নিউজ২৪ | আইন আদালত প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০১:০১ এএম
ফাঁসির রায় শুনে আসামি বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ 

রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আট আসামির মধ্যে ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি দুই জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এসময় আদালত প্রাঙ্গনে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা শুনে আসামিদের হাসতে হাসতে বলতে শোনা যায়, রায়ে আমরা আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের কোনো অনুশোচনা নেই। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়া, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে খালাস পাওয়া দুই জন হলেন- সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ। আদালতে উপস্থিত থেকে রায় শুনেছেন মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামিকেই আদালতে হাসাহাসি করতে দেখা যায়। রায় শোনার পরও বেপরোয়া ছিল তাদের মনোভাব। আরাফাত বলেন, ‘এই তাগুতি বিচার ব্যবস্থা আমাদের পায়ের নিচে।’ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। এই রায়ে আমরা সফল। আমরা আখেরাতে সফল হব।’

বেলা ১২টার টার দিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময়ই মুখে হাসি নিয়ে নামছিলেন চার জন। আদালতে ঢোকা থেকে রায় ঘোষনা শেষে আবার প্রিজন ভ্যানে ওঠানোর সময় পর্যন্ত তাদের মুখে হাসি দেখা যায়। কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় হাতকড়া পরিয়ে রাখা নিয়ে প্রশ্ন করলেন জঙ্গিরা। জঙ্গি আব্দুল্লাহকে দেখা যায় হাত পিছনে দিয়ে হাতকড়া পরানো অবস্থায়। তখন তিনি সেটা খুলে দিতে বলেন। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে খুলতে রাজি না হলে জঙ্গি আরাফাত উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উদ্দেশ্য বলেন, ‘জঙ্গিদের কি কোনো মানবাধিকার নেই। মানবাধিকার কি শুধু আপনাদের জন্য। আপনারাই মানবাধিকারের কথা বলেন, আমরা বলি না।’

উল্লেখ্য, রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল খুনের শিকার হন ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘হত্যায় অংশগ্রহণকারী অভিযুক্ত আসামিরা বেঁচে থাকলে আনসার আল ইসলামের বিচারের বাইরে থাকা সদস্যরা একই অপরাধ করতে উৎসাহিত হবে। কাজেই এসব আসামি কোনো সহানুভূতি পেতে পারে না। ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। এতে নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়রা শান্তি পাবেন। অন্যদিকে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করতে ভয় পাবে এবং নিরুৎসাহিত হবে।’

সংবাদপত্রের পাতা থেকে বিভাগের আরো খবর
ব্যাংকে জমানো আমানত কমে যাচ্ছে

ব্যাংকে জমানো আমানত কমে যাচ্ছে

কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

বিভিন্ন ছাড়ে ব্যাংক খাতের আসল চিত্র আড়ালের সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বিভিন্ন ছাড়ে ব্যাংক খাতের আসল চিত্র আড়ালের সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পাসপোর্ট এনআইডিসহ ১৯ কাজের অতি প্রয়োজনীয় জন্মসনদ এখন ‘সোনার হরিণ’

পাসপোর্ট এনআইডিসহ ১৯ কাজের অতি প্রয়োজনীয় জন্মসনদ এখন ‘সোনার হরিণ’

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যে ব্যাংক

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যে ব্যাংক

প্রশাসনের শীর্ষ পদে পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে

প্রশাসনের শীর্ষ পদে পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে