ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার উদ্যোগ


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২০, ০৯:৩৯ এএম
হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার উদ্যোগ

হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের ১৫ হাজার নারী ও পুরুষকে হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নারীদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর ফলে শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমশক্তির সরবরাহ বাড়বে এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৮-তে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষ জনবল সৃষ্টির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এ কারণেই শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)-এর মাধ্যমে সরকারের ইশতেহারের এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে। ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন (ফেজ-২)‘ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিটাকের বাজার চাহিদাভিত্তিক কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার অবকাঠামোগত সক্ষমতা বাড়বে। একইসঙ্গে প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৫ হাজার নারী-পুরুষকে বিভিন্ন ট্রেডে নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমশক্তির সরবরাহ বাড়বে, অন্যদিকে আত্মকর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। এসব কারণে প্রকল্পটি সরকারের নেওয়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের নিজস্ব তহবিলের ১২৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি আপাতত ঢাকা বিভাগের অধীন ঢাকা সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন চাঁদপুর পৌরসভা, পাহাড়তলী, খুলনা বিভাগের অধীন ফুলতলা ও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া সদরে বাস্তবায়িত হবে।

সূত্র আরও জানায়, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলাই নয়, এর বাইরে বিটাকের সক্ষমতা বাড়ানোও প্রকল্পের একটি উদ্দেশ্য। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) ২০২০ সালে কাগজে-কলমে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ৬ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন নতুন অননুমোদিত প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, বিটাক ঢাকা (তেজগাঁও) কেন্দ্রে নিজস্ব জায়গায় ১০ তলা (মোট ৫৭ হাজার ৮০০ বর্গফুট) ভবনে একটি পুরুষ হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও বিটাক ঢাকা কেন্দ্রে বিদ্যমান ছয়তলা ভিতসম্পন্ন নারী হোস্টেলের ষষ্ঠতলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (মোট ৭ হাজার ২৬৭ দশমিক ৩০ বর্গফুট) করা হবে। প্রকল্প মেয়াদে ১৫ হাজার নারী ও পুরুষকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রভাব নিরূপণে গবেষণা পরিচালনা করা হবে। নির্মিতব্য দশতলা হোস্টেল ভবনের জন্য আসবাবপত্র, ডাটাবেজ সফটওয়্যার উন্নয়ন, কম্পিউটার এবং যন্ত্রাংশ এবং দুটি ভবনের জন্য তিনটি লিফট কেনা হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিটাকের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে শিল্প খাতকে সহায়তা দেওয়া। সে আলোকে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিটাকের অন্যতম লক্ষ্যমাত্রা হলো আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করে জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন করা। বিটাক মনে করে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিটাকের বাজার চাহিদাভিত্তিক কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের অবকাঠামোগত সক্ষমতা বাড়বে। ১৫ হাজার নারী-পুরুষকে বিভিন্ন ট্রেডে নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। যা শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমশক্তির সরবরাহ বাড়াবে এবং স্ব-কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানিয়েছেন, জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতের পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব অর্থনৈতিক জোনে দেশি-বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে নতুন শিল্প স্থাপনের ফলে সৃষ্ট নতুন কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন হবে। আশা করছি প্রকল্পটি বাজার চাহিদাভিত্তিক বিভিন্ন ট্রেডে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করবে, যা নতুন শিল্প কারখানায় দক্ষ জনবলের চাহিদা পূরণসহ বেকার জনশক্তির আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানিয়েছেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) প্রস্তাবিত ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন (ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে দক্ষ জনগোষ্ঠী বাড়বে। এতে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী