তিন বছরের বেশি সময় পর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব পেল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ। দক্ষিণের নতুন সভাপতি হয়েছেন সদ্যবিদায়ী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। আর উত্তরের সভাপতি হয়েছেন আগের কমিটির এক নম্বর সহ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
উত্তরের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এস এম মান্নান কচি এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
শনিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
দুই সাধারণ সম্পাদকের পরিচয়:
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা এস এম মান্নান কচি এবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হলেন। দলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শনিবার তাকে উত্তরের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
কচির রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্রলীগের মাধ্যমে। রাজনৈতিক জীবনে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এবং পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইয়ের সহসভাপতি।
জানা গেছে, মান্নান কচি ১৯৮৩-৮৪ সালে বৃহত্তম মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক। সবশেষ মহানগর কমিটির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কচি।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির আগের কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তিনি লালবাগের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিনের এই কাউন্সিলর ২৪ বছর বৃহত্তর লালবাগ-চকবাজার-কামরাঙ্গীরচর-হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হুমায়ুন কবিরের পুরো পরিবারই উচ্চশিক্ষিত। তার একমাত্র ছেলে রেজাউল কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক। তার দুই মেয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামালের হাত ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন হুমায়ুন কবির। ১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজে পড়াকালীন সময়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
গো নিউজ২৪/আই