টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জি কে শামীমকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে তার ব্যবসায়িক কার্যালয় জিকে বিল্ডার্স থেকে শামীমকে আটক করা হয়।
শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমান টকা ও চেক জব্দ করা হয়।
এত বিপুল সম্পত্তি কী করে গড়লেন জি কে শামীম সেটি অনুসন্ধানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
তথ্যে দেখা যায় যে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সেই হেড কোয়ার্টারের ৫০০ কোটি টাকার কাজ পেয়েছেন তিনি।
আরো পড়ৃন<<>>বালিশকাণ্ডের ‘হেড মাস্টার’ জি কে শামীম
শুক্রবার নিকেতনে শামীমের কার্যালয়ে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার নথিপত্র থেকে এমনটিই জানা গেছে।
শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, বড় বড় ১৭টি প্রকল্পের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারির কাজ করছেন আটক হওয়া জিকে শামীম। এসব প্রকল্পের মধ্যে সচিবালয় ও র্যাব হেড কোয়ার্টারও রয়েছে।
নিজেকে জি কে শামীমের পিএস বলে দাবি করা দিদারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘জিকে শামীমের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ৫০০ কোটি টাকার র্যাব হেডকোয়ার্টারের কাজ পেয়েছেন। বড় বড় যে দুটি প্রকল্পের কাজ তিনি পেয়েছেন, এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ৪০০ কোটি টাকা এবং পঙ্গু হাসপাতালের ৩৫০ কোটি টাকার কাজ।
এ ছাড়া শামীমের হাতে রয়েছে- সচিবালয়ে ১৫০ কোটি টাকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবন, ১৫০ কোটি টাকার কেবিনেট ভবন, ৪০০ কোটি টাকার এনবিআর, ২০০ কোটি টাকার মহাখালী ডাইজেস্টিভ এবং বেইলি রোডে ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প।
এর পাশাপাশি জিকে শামীমের হাতে রয়েছে ২০-২৫ কোটি টাকার অ্যাজমা, ২০-২৫ কোটি টাকার ক্যান্সার, ২০-২৫ কোটি টাকার সেবা মহাবিদ্যালয়, ৮০ কোটি টাকার নিউরোসায়েন্স, ৮০ কোটি টাকার বিজ্ঞান জাদুঘর, ১২ কোটি টাকার পিএসসি, ৩০-৬০ কোটি টাকার র্যাব ফোর্স, ৬৫ কোটি টাকার এনজিও ফাউন্ডেশন এবং মিরপুর-৬ তে ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ।’
গো নিউজ২৪/আই