বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তাতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর। তিনি কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।
এরইমধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর গণভবনে যাতায়াতের স্থায়ী অনুমতি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
তথ্যানুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও অঙ্গ-সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের মৌখিকভাবে অনুমতির পাশাপাশি তালিকা দেয়া থাকে। ওই তালিকা থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে শোভন-রাব্বানরি পক্ষে সুপারিশ করতে গণভবনে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ছাত্রলীগের চলমান বিষয়টি জানতে ও শোভন-রাব্বানীর জন্য সুপারিশ করতে গণভবনে যান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আবদুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলার সাহস করেননি।
উপরন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই উপস্থিত নেতাদের ছাত্রলীগ বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বলেন। একই সঙ্গে বিষয়টি তিনি নিজেই দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে ওই নেতারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।’
গো নিউজ২৪/আই
