ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শোভন-রাব্বানী লাপাত্তা!


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৯:৫১ পিএম
শোভন-রাব্বানী লাপাত্তা!

ছাত্রলীগের কমিটি প্রসঙ্গে জানার জন্যে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, অনেকবার কল দেওয়ার পরও তারা ফোন ধরেন না, ফেরত কলও দেন না, দেখা করার জন্য সময় চেয়েও তাদের পাওয়া যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি দৈনিকের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি বলেন, বেশিরভাগ সময় তারা ফোন ধরে না, কয়েকটা কল দেওয়ার পর কদাচিৎ ধরে। এসময় রাব্বানীর উদ্দেশে এই সাংবাদিক বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কারো সমালোচনা নিতে পারেন না।

দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইমাদ উদ্দিন সরদার মারুফ বলেন, এক বছরে দুইবার তাদেরকে কল দিয়ে পেয়েছি। তাও সেটা অনেক মেসেজ ইত্যাদির পর। এই সাংবাদিক আরও বলেন, আগের কমিটিতে যারা ছিল তারা কল না ধরতে পারলেও পরে ব্যাক করত। কিন্তু এবারের কমিটি তার উল্টো।

বাংলা ট্রিবিউনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, একটি হলে (রোকেয়া হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে) নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ পাঠালেও তারা কোনও সাড়া দেয়নি। পরে গোলাম রাব্বানীর সাথে দেখা করতে ডাকসুতে গেলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে নিজ কার্যালয় ত্যাগ করেন। পরে ডাকসু ভবনের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে সেলফি তুলতে দেখা যায় তাকে।

আমার সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মো ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে কল দিলে তারা ধরতে না পারলে পরে কল ব্যাক করেন। কিন্তু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে ফোন কিংবা মেসেজ দিয়েও কখনও পাওয়া যায় না। এমনকি তারা কখনও ফেরত কলও করেন না।

এ প্রতিবেদন লেখার পর তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার কল দিলেও পূর্বেকার মতো তারা ফোনে কোনো সাড়া দেননি।

প্রসঙ্গত, শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা শেষে আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর তাতে ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।

তবে রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সংগঠনটির কিছু কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ থাকতে পারে। শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী