জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ২৯ যাত্রীসহ নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছিল মমতা আকতার বিথী (৭) নামের এক শিশু। অবশেষে তাকে পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে যমুনার উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে ভেসেছিল সে।
বৃহস্পতিবার বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশার ঘুঘুমারি চর এলাকার নদীর অংশ থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দা পারভীন বেগম।
বিথীকে অনেকটা নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধারের পর স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিথী এখন আশঙ্কামুক্ত।
পারভীন বেগম জানান, সকাল ৮টার দিকে চন্দনবাইশার ঘুঘুমারি চর এলাকায় যমুনা নদীর অংশে একটি শিশুকে ভাসতে দেখেন তিনি। পরে তার প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে নদী থেকে উদ্ধার করেন।
পারভীন বেগম আরও বলেন, শিশুটি নিস্তেজ অবস্থায় ছিল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রায় ১২ ঘণ্টার মতো শিশুটি নদীতে ভেসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভর্তির সময় সে অনেকটা নিস্তেজ ছিল। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। ততক্ষণ পর্যন্ত তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। দুপুর ১২টার দিকে তার জ্ঞান ফেরে। এ সময় সে নিজের নাম মমতা আকতার বিথী বলে জানায়।
আল আমিন বলেন, বিথীর বাবার নাম মইন উদ্দিন। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। কিছুক্ষণ পর সে আবার জ্ঞান হারায়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সে আশঙ্কামুক্ত।
পরে বিথীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুর এলাকায় খোঁজ করে তার পরিবারকে পাওয়া যায়। শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়ে তাদের জানালে আজই দুপুর ২টার দিকে বিথীর দাদা নজরুল ইসলাম ও চাচা আবদুল আওয়ালসহ স্বজনরা জামালপুর থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
এদিকে নৌকু ডুবির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের সহায়তায় ২৩ জন যাত্রী উদ্ধার হলেও এখনো এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
গো নিউজ২৪/আই