ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া বকেয়া বিলে জেল: পল্লী বিদ্যুতের ১১ জন বরখাস্ত


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম
ভুয়া বকেয়া বিলে জেল: পল্লী বিদ্যুতের ১১ জন বরখাস্ত

ভুয়া বিলে দিনমজুর আবদুল মতিনকে (৪৫) জেলে নেয়ার ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মোচাগড়া গ্রামে মতিনের বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ ছিলো না। তবুও ১৭ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকির মামলায় জেলে ঢুকানো হয়েছিল তাকে। এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এছাড়া ভুক্তভোগী মতিনের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে সংস্থাটি।

শনিবার এ ব্যাপারে আরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অলরেডি ১১ জনকে সাময়িক বরাখাস্ত করেছি। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। শুধু নিচের দিকে কর্মচারী নয়, ডিজিএমের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে ডিজিএম সরাসরি জড়িত না হলেও তার ব্যাপারে সমিতির কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, যারা মতিনের জায়গায় অন্য কাউকে সংযোগ দিলো, এরপর ওই লোকের নামে বিল না দিয়ে মতিনের নামে বিল পাঠাচ্ছিলো; সেই সংশ্লিষ্ট লাইনম্যান, লাইন নির্মাণ পরিদর্শক, ওয়্যারিং পরিদর্শক, মেসেঞ্জার, বিলিং সহকারী, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারসহ যারা সরাসরি জড়িত তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আবদুল মতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করতে আগামীকাল (রবিবার) বিকাল ৪টায় আরইবি’র ৮০টি সমিতির সঙ্গে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ২৫৬টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ৪ বছর আগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এ আবেদন করে। আবেদনের পর স্থানীয় বিদ্যুৎ দালাল আবুল কালাম আজাদ ও আবুল বাসার প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে মিটারপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা আদায় করে।

ওই সময় মৃত অহিদ আলীর ছেলে আবদুল মতিন মিয়াও আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ সংযোগের অনুমোদন প্রদান করে। কিন্তু মতিন মিয়া দালাল চক্রদের ৪ হাজার টাকা দিলেও বাকি টাকা দিতে না পারায় বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অর্থের বিনিময়ে মতিন মিয়ার আবেদনে একই এলাকার মৃত আবদুস ছামাদের ছেলে সফিকুল ইসলামের ছবি লাগিয়ে দেয়।

পরে মতিন মিয়ার মিটারটিতে গত ২০১৫ সালের ২২ মার্চ সফিকুল ইসলামকে সংযোগ প্রদান করে। সফিকুল প্রায় ১৭ মাস তিনি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেন। এজন্য কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনা অফিসের এজিএম লক্ষণ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে বকেয়া বিল ৪ হাজার ৭ টাকা অদায়ের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে একটি মামলা করেন।

সেই মামলায় মঙ্গলবার রাতে মুরাদনগর থানার এসআই কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আবদুল মতিনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে মুক্তি পান আবদুল মতিন।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী