ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৪ চৈত্র ১৪৩০

‘সিরাজের দুই ধরণের শাস্তি চাইলেন এই নারী’


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৮:১৯ পিএম
‘সিরাজের দুই ধরণের শাস্তি চাইলেন এই নারী’

নুসরাত জাহান রাফির নির্যাতক সিরাজের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোটা বাংলাদেশ। এটা ভালো। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠলে অপরাধীরা ভয় পেতে বাধ্য। ফলে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা এবং অপরাধ কমার সম্ভাবনা, দুটোই বাড়ে। তবে আমি হারামি সিরাজের বা যেকোনো ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার বিপক্ষে। কারণ আমার মনে হয় এমন ভয়ংকর নির্যাতক বা অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড অতি নগণ্য শাস্তি। আরো অনেক বেশি কঠিন শাস্তি এদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, যৌন নির্যাতকদের শাস্তি হওয়া উচিত দুইটা।

এক. তাদের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হবে, যাতে সে সারাজীবন বেঁচে থেকে তার অপরাধের শাস্তি অনুভব করতে পারে এবং আর কখনোই এমন অপরাধ করার কথা কল্পনাও করতে না পারে।

দুই. তার কব্জি পর্যন্ত দুই হাত কেটে ফেলা হবে, যাতে সে প্রতিটা কাজে অসুবিধা বোধ করে এবং প্রতিটা মুহূর্তে তার পাপের কথা অনুভব করে অনুতপ্ত হয়। এই দুটো শাস্তির ফলে অনেকগুলো লাভ হবে।    

যথা : ১. ধর্ষকদের এহেন দুরবস্থা দেখে তার পরিবারের, আশপাশের, সমাজের, দেশের বাকি মানুষজন তাদের প্রতি করুণা ও উপহাস করবে এবং তারা নিজেরাও ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন করার কথা ভাবতেও ভয় পাবে। 

২. এই শাস্তি দিলে ধর্ষক তার পরিবারের প্রতি কিছুটা হলেও নির্ভরশীল হতে বাধ্য হবে। ফলে পরিবারের লোকেরাও তাকে অবহেলা করবে। এটিও তার জন্য মানসিক শাস্তি। ধর্ষকের পরিবারও তার দেখাশোনা করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা বোধ করবে। এতে তারাও বুঝবে যে, সে দোষ করেছিলো বলেই আজ তার এই অবস্থা। 

৩. এই শাস্তির সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো, ধর্ষিতা ও তার পরিবার ধর্ষকের এই করুণদশা দেখে মনে ভীষণ শান্তি পাবে। এটি তাদের মানসিক কষ্ট লাঘবে সবচেয়ে ভালো প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। এর কোনো তুলনা হয় না!

চাইলে আরও একটি কাজ করা যেতে পারে। গরু-ছাগলের খোয়াড়ের মতো বাংলাদেশের প্রতিটা ইউনিয়নে একটি করে ধর্ষকের খোয়াড় বানানো যেতে পারে। নুনু এবং হাত কাটার পর একটি ছোট ঘরের ভেতরে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় এদের রাখা হবে। এলাকার লোকজন দলে দলে তাদের দেখতে আসবে এবং তাদের গায়ে কফ-থুথু দেবে। ধর্ষক বা যৌন নির্যাতকদের পরিবারের লোকেরা তাদের জন্য খাবার দিয়ে যাবে। যেদিন দেবে না, সেদিন তারা না খেয়ে থাকবে। অথবা দেশের প্রতিটা চিড়িয়াখানায় একটা করে খাঁচায় রাখা হবে এসব অপরাধীদের।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী