ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে মূলত দুই কারণে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সংস্থাটি। তবে আগুনে পোড়ানোর কাজে অংশ নিয়েছিল চারজন।
শনিবার দুপুরে এসব কথা জানিয়েছেন পিবিআইয়ের প্রধান ও পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
পিবিআইয়ের প্রধান বলেন, ‘নুসরাতকে আগুনে পোড়ানোর দুটি কারণ স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা। হত্যাকারীরা নুসরাতকে হত্যার আগে সবাই মিলে বসে হত্যার ছক তৈরি করে।’
নুসরাতকে হত্যার প্রথম কারণ হচ্ছে, নুসরাত অধ্যক্ষসহ পুরো আলেম সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করেছিল বলে হত্যাকারীরা একমত হয়েছিল। সে কারণে তাকে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেয়।
আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, নুসরাত হত্যার অন্যতম গ্রেপ্তারকৃত আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম। সে বেশ কয়েক মাস যাবৎ নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু শামীমের প্রেমের প্রস্তাবে নুসরাত রাজি হচ্ছিল না। মূলত এতে ক্ষিপ্ত হয়েই শামীম নুসরাতকে হত্যা করতে সবার সঙ্গে একমত হয়েছিল।
ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার কথা স্বীকার করে শাহাদাত হোসেন শামীম এসব কথা জানিয়েছে।
গো নিউজ২৪/আই