রাজধানীতে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ফুঁসে উঠে দেশ।
যে বাসের চাপায় আবরার নিহত হয়েছেন সেই বাসটির নিবন্ধন সাময়িকভাবে বাতিল করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেইসঙ্গে রাজধানীতে সু-প্রভাত এবং জাবালে নূরের সকল বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এমন অবস্থার পেক্ষিতে রাজধানীর সদরঘাট থেকে গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা রুটে চলাচলকারী ‘সু-প্রভাত স্পেশাল বাস সার্ভিস’ পরিবহনের কিছু বাসের রঙ বদলে এখন ‘সম্রাট ট্রান্সলাইন (প্রা.) লি.’ নামকরণ করা হচ্ছে।
বুধবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাজীপুরা এলাকায় সু-প্রভাত পরিবহনের বাসের রঙ বদলে রাতারাতি সম্রাট পরিবহন নামে পরিবর্তিত হতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মারা যাওয়ার পর রাতারাতি বদলে যাচ্ছে সু-প্রভাত বাসের চেহারা। এ কোম্পানির বিভিন্ন বাস রঙ বদলে সম্রাট পরিবহনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া গাড়ির মালিকরা তাদের সুবিধা মতো কোম্পানিতে নিজেদের বাস অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যস্ত।
এদিকে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর রঙ করে সম্রাট হয়ে যাওয়া বাসগুলোকে খুঁজছে পুলিশ।
আরো পড়ুন<<>>রঙ পাল্টে সু-প্রভাত এখন সম্রাট
কর্তৃপক্ষ ওই রঙ করা বাসগুলো অজ্ঞাতস্থানে সরিয়ে নেয়। ফলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রঙ বদলানো ওই বাসগুলো আর খুঁজে পাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সু-প্রভাত পরিবহনের প্রায় শতাধিক বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে, বিভিন্ন পেট্রলপাম্প ও খোলা আকাশে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। বাসের পাহাড়ায় রয়েছে কিছু চালক ও হেলপার। তবে বাসের মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
সেখানে রঙ করা বাসগুলো নেই।
একাধিক শ্রমিক, বাসচালক ও সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সু-প্রভাত স্পেশাল বাস সার্ভিসটির রুট পারমিট রাজধানীর সদরঘাট থেকে রামপুরা হয়ে উত্তরা পর্যন্ত। এক প্রভাবশালী পরিবহন নেতার প্রভাবের কারণে চলছে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গাজীপুরা পর্যন্ত। ৭০টি বাস চলার অনুমোদন থাকলেও চলছে প্রায় সাড়ে তিনশ বাস।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সু-প্রভাত পরিবহনের কোনো বাস অন্য কোম্পানির নামে চলতে দেওয়া হবে না।
গো নিউজ২৪/আই