পরিশ্রম শতভাগ সফলতার নিশ্চয়তা না দিলেও কখনও হতাশ করেন না। আমাদের সামনে তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন আড়াই বছর বয়সে ‘মা’ হারা এক সন্তান। পরিশ্রমের সাথে চাই শুধু একটু সাহস। দেখেন কতগুলো বাঁধা এই তরুণ সেনানীকে মোকাবেলা করতে হয়েছে এক সাথে। একটা দেশ, দেশের আইন সবই ছিলো তার বিপক্ষে!
ঘোর অন্ধকারে বার বার তার জীবনকে আকড়ে ধরেছে। তবুও দেশের দক্ষিণপ্রান্ত থেকে উঠে আসা পটুয়াখালির ছেলেটি একবারের জন্যও ভাবেনি তার পায়ের নিচে মাটি নেই। আছে শুধু লঞ্চের মেঝে। আর তার নিচে গভীর নদী। কিন্তু কে জানতো এই তরুণ মাড়িয়ে আসবেন সেই কঠিন পথও?
আমি যদি আপনাদের প্রশ্ন করি উভয় শঙ্কট কাকে বলে? হয়ত উত্তরটা সবাই চোখ বুঝেই দিতে পারবেন। কিন্তু যদি বলি, তা কখনও দেখেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে নিশ্চয়। একমাত্র মাড়িয়ে এসেছেন রাশেদ, ফারুক নুররা। হয়ত আরো কণ্ঠাকীর্ন পথ পাড়ি দিতে হবে তাদের। এ পর্যন্ত কেমন পথ চাপিয়ে এসেছে তারা। একবার একটু চোখ বুলিয়ে আসা যাক-
০১. তুলে নিয়ে গুম করে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা।
০২. সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা।
০৩. জনগণের তথা সরকারি হাসপাতাল থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গভীর রাতে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া।
০৪. বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়ায় তাদের উপর চাপ সৃষ্টি।
০৫. পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি। এখানেই শেষ নয়, বলা হয়েছে রাখা হবে না জীবিত।
০৬. সব শেষ ভোট জালিয়াতি করে হারিয়ে দেয়ার সব আয়োজন করেও ব্যর্থ হওয়া।
০৭. প্রথমে শিবির পরে নিজেদের কর্মী দাবি করা।
০৮. সব শেষে গণভবনে সেই নুরুল হক নুর।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের জ্ঞাণী-গুণীদের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরচারী নীতির বিপক্ষে বজ্রকণ্ঠ, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং কোটা সংস্কার নিয়ে যত ভুল বুঝাবুঝি এসবের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে নির্বাচিত হওয়া ভিপি নুরুল হক নুর।
গণভবনে যাওয়ার পর নুরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য করছেন। সে ব্যাপারে আপাতত কিছু বলছি না।
আমি তার গণভবন পর্যন্তই থামতে চাই...
আব্দুস ছালাম, সাংবাদিক
গো নিউজ২৪/আই