সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার পায় সমাজের পিছিয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) জনগোষ্ঠী। কিন্তু তাদের কেউ এখনো জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার লাভ করেননি।
ভোটাধিকার পাওয়ার পর তৃতীয় লিঙ্গের কেউ কেউ স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজেদের সমস্যার কথা বলতে জাতীয় সংসদে সদস্য হিসেবে যাবেন। কিন্তু আইনী বাধায় সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।
একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা তৃতীয় লিঙ্গের ময়ূরী এবং চট্টগ্রামের ফাল্গুনিও রয়েছেন।
কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী, সংরক্ষিত আসনে তৃতীয় লিঙ্গের কাউকে নির্বাচিত করার সুযোগ নেই। এ সংক্রান্ত সর্বশেষ সংশোধনীর ৬৫ (১)-এর ৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সংসদে ৫০টি আসন কেবল নারী-সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে।
অন্যদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশেও (আরপিও) তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে সংবিধানে সংশোধনী না এনে তৃতীয় লিঙ্গের কাউকে জাতীয় সংসদের সদস্য করা সম্ভব হচ্ছে না।
গো নিউজ২৪/আই