উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় থাকবেন দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতারা। অন্তত ১২ বছর আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলে, তার মনোনয়নের সম্ভাবনা কম।
হাইব্রিড এবং উড়ে এসে জুড়ে বসাদের ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের মাঠ জরিপ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। দলের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচন জোটগতভাবে হবে না। অর্থাৎ মহাজোটর শরিকদের কেউ নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাবেন না।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে মাঠ জরিপের ভিত্তিতে। গতবারের মতো এবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগকে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মাঠ জরিপের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনের আগে দলে অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহিত করা হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা অন্যদল থেকে লোক এনে প্রার্থী করতে চাই না। যেহেতু জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করেছে, তাই অন্যদলের সুযোগ সন্ধানীরা মনে করতে পারে, মনোনয়ন পেলেই উপজেলা চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়া যাবে। এই সুযোগ সন্ধানীদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গো নিউজ২৪/আই