ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটে নেই জিয়া পরিবার


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৮, ১১:৫৯ এএম আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০১৮, ১২:০৫ পিএম
ভোটে নেই জিয়া পরিবার

ঢাকা: প্রায় এক যুগ রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে দেশের অন্যতম বৃহত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ১০ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে দলটি। এবারের নির্বাচনে দলটি অংশ নিলেও গত ২৭ বছরে (২০১৪ ছাড়া) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম এই পরিবারের কোনো প্রার্থী ছাড়া ভোট হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিন আসনে মনোনয়পত্র দাখিল করলেও আদালতে সাজা পাওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তার আইনজীবীরা। তবে দুই বছরের বেশি সাজায় দণ্ডিতদের নির্বাচন করার পথ বন্ধ হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশেই। এই প্রেক্ষাপটে সেখানে খালেদার প্রার্থিতার পক্ষে রায় আসবে- এমন সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্ট কেউই।

অন্যদিকে তার পুত্র দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মামলা ও কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে পলাতক। এ কারণে নির্বাচনের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাকেও।

১৯৯১ সাল থেকে অংশগ্রহণমূলক প্রতিটি নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া ফেনী-১ আসন থেকে খালেদা জিয়ার ভাই প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দার নির্বাচন করেন একাধিকবার।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা হওয়ায় এই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় ছিল আগে থেকেই। গুঞ্জন ছিল বগুড়া ও ফেনী থেকে তার দুই পুত্রবধূর (জোবায়দা রহমান ও শর্মিলা রহমান) মধ্যে কেউ, অথবা সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ নির্বাচনে আসেননি। ফলে ২৭ বছর পর জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য সংসদ নির্বাচনের লড়াই থাকলা না।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সামরিক শাসন জারির করার পর এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে তৎকালীন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোট এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৮ দলীয় জোট। সাতদলীয় জোটের নেতৃত্বে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের সময় পরপর দুটি নির্বাচন হলেও বিএনপি তাতে অংশ নেয়নি। ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বগুড়া-৭ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও চারটি আসন থেকে নির্বাচন করেন। সব কটিতেই বিজয়ী হন তিনি। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচন করে প্রতিটিতে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে।

ফেনী-১ আসনে ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেন খালেদা জিয়া জয়ী হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হন। ওই বছরের ১২ জুনের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন। ওই নির্বাচনে দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন পরিচালনায় সরাসরি ভূমিকায় ছিলেন। সবশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে এক লাখের বেশি ভোটে পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তবে নীলফামারী-১ আসন থেকে এবার ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিনা ইসলাম বিউটির স্বামী। দূরের আত্মীয় হওয়ায় রফিকুল ইসলামকে জিয়া পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য হচ্ছেন না।

গত মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনা যাই ঘটুক, আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। কোনো ষড়যন্ত্র আমাদেরকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবে না। এর আগে এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেছিলেন, আমরা নির্বাচনে থাকার জন্যই এসেছি।

অর্থাৎ জিয়া পরিবারের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির রাজনীতির ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি নির্বাচনে গেলে সেখানে জিয়া পরিবারের প্রতিনিধিত্ব ছিল অনিবার্য। দলীয়ভাবে ফলাফল যাই হোক খালেদা জিয়ার জয় ছিল অবধারিত।

গো নিউজ২৪/এমআর

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী