ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ঐক্যের দুটি বিষয়ে অবাক সাখাওয়াত হোসেন


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮, ০৯:৫৯ পিএম
জাতীয় ঐক্যের দুটি বিষয়ে অবাক সাখাওয়াত হোসেন

ঢাকা : ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী দলগুলোর ‘জাতীয় ঐক্যের’ যে ঘোষণা এসেছে তাতে দুটি বিষয়ে অবাক হয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন। অবাক হওয়ার মতো বিষয় দুটি হচ্ছে জাতীয় ঐক্যে জামায়াতে ইসলামীর কোনো ভূমিকা না থাকা এবং বিএনপির তাতে যোগ দেয়া ও সবকিছু মেনে নেয়া।

রোববার মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল‌ আইয়ের নিয়মিত টক শো ‘আজকের সংবাদপত্রে’ আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী।

জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এই জাতীয় ঐক্যটা আমরা অনেক দিন ধরে শুনে আসছিলাম। জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপিও দিয়েছে এবং অন্যান্য ছোট ছোট দলগুলোও দিয়েছে। বিশেষ করে মাহমুদুর রাহমান মান্না এটা নিয়ে অনেক দিন কাজ করছেন।’

‘কিন্তু সব থেকে আমাকে অবাক করলো দুটো জায়গায়। এখানে জামায়াতে ইসলামীর কোনো ভূমিকা নেই। সেটা হয়তো একটা বড় শর্ত ছিল জাতীয় ঐক্যে। আর বিএনপির এই জাতীয় ঐক্যে আসা এবং সেটা মেনে নেওয়া।’

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এখানে বিএনপি যেহেতু এতে বড় একটি দল, এটাই মূল চালিকাশক্তি হবে জাতীয় ঐক্যের। আর বাকি যে দলগুলো আছে তারা বহু আগে থেকে নির্বাচন করে এলেও সে রকম সুফল পায়নি। এখন এই জায়গায় দেখার বিষয় ইফেক্টটা কতটুকু পড়ে।’

সাখাওয়াত বলেন, ‘একটা জিনিস আমি নিশ্চিত যে, বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যে যে দলগুলো রয়েছে এতে আগামী নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন যদি হয় এতোগুলো দলের সমন্বয়ে তাহলে এই ইলেকশনের চরিত্রটাই হয়তো অন্যরকম হতে পারে। এটা এত সহজ নির্বাচন হবে না। আর সেটা নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীন দলের চিন্তা- ভাবনায় রয়েছে এবং নিশ্চয়ই তাদের হিসাব-নিকাশ রয়েছে এটা নিয়ে। এটা ডেফিনেটলি একটি প্রেসার ক্রিয়েট হয়েছে।’

জাতীয় ঐক্যের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা কতগুলো দাবি-দাওয়া দিয়েছে, যেখানে আমি বিশেষ কোনো নতুনত্ব দেখছি না। এগুলো বিভিন্ন সময়ে দেয়া হয়েছে। এখন এটা সম্পূর্ণ সরকারের এখতিয়ারে যে, তারা কতটুকু মানবে, কতটুকু মানবে না।’

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনীতির এই বিশ্লেষক বলেন, ‘২০১৮ সালের যখনই নির্বাচন হোক, এই নির্বাচনটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। ২০১৪ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন বাংলাদেশ এফোর্ট করতে পারবে না। ২০১৪ এর মতো আর কোনো নির্বাচন হবে না এটা ক্ষমতাসীন দল খুব ভালো করেই জানে।’

‘সরকার এখন যে সমস্যায় পড়বে, যদি কম্পিটেন্ট কন্টেসটেন্ট না থাকে, ধরেন যাদের রেপুটেশন আছে সে ধরনের মানুষের সমন্বয় ঘটাতে না পারলে খুব ডিফিকাল্ট হবে। এটা উভয় পার্টির ক্ষেত্রে একই।

 

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী