ঢাকা : ধার দেনা করে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে অটোরিকশাটি কিনেছিলেন আবদুস সামাদ। সেটি চালিয়ে স্ত্রী, স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে চলে তার সংসার। কিন্তু জীবিকার অবলম্বনটি হারিয়ে যাওয়ার পর তার নিজের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের যোগান যেমন কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল, তেমনি মাথায় চেপেছিল ঋণ পরিশোধের বোঝা।
কোনো উপায় না দেখে নিজের মোবাইলে গুগলে কোনো মন্ত্রী বা এমপির নাম লিখে নম্বর সার্চ করেন। কিন্তু পেয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর নম্বর। ভাবেন শেখ হাসিনা অনেককেই সহায়তা করেন, এসএমএসটি পেলে হয়ত তাকেও ফেরাবেন না।
এরপর গত ১৮ জুন প্রধানমন্ত্রীকে একটি এসএমএস পাঠান সামাদ। লেখেন- মা, তুমি সারা দেশের মা। আমাকে একটু সাহায্য করুন।
এর দুই দিন পর ২০ জুন বুধবার সামাদের বাড়িতে পুলিশ হাজির। তারা জানতে চান, কোনও এসএমএস পাঠিয়েছেন নাকি।
সামাদ বলেন, ফয়লা (প্রথমে) ডরাইছি। পরে কথাবার্তা শুইন্যা বুঝছি, আমাকে সাহাইয্য করত আইছে পুলিশ।
এরপর বৃহষ্পতিবার (২১ জুন) ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার তার অফিসে ডেকে একটি অটোরিক্সা তুলে দেন।
সামাদ বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবতারছি না প্রধানমন্ত্রী আমারে অত তাড়াতাড়ি সাহাইয্য করব। অহনও মনে অইতাছে স্বপ্ন দেখতাছি।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এসএমএসটি নজরে আসার পরপরই সাহায্যের নির্দেশনা পাঠান প্রধানমন্ত্রী। আর আমরা আবদুস সামাদকে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
গো নিউজ২৪/আই