আজকাল খবরের কাগজে পড়লে বা টিভিতে খবর শুনলে সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে যায়। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই আমরা ধর্ষণের শিকার ও যৌন হয়রানির খবর পাই। সম্প্রতি সমাজে ধর্ষণ বিরোধী বার্তা দিতে সিরিজ ছবি প্রকাশ করেছেন ভারতের ফটোগ্রাফার গণেশ তয়াস্তি। তার তোলা ছবিগুলি এতো শক্তিশালি বার্তা দেয় যে ছবিগুলিতে ক্যাপশন লাগে না।
তানিরিকা, একজন সাধারণ মেয়ে…
মেয়েটি যখন তার বাবার সঙ্গে গল্পগুজব করছিল।
তানিরিকা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সর্বদাই কল্পনা করত।
গল্পের অন্য দিকে, দুই বন্ধু, জেলে (মহেশ) এবং ধনী ব্যক্তি (সুনিল) একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে।
তারপর সেখানে পুরানো বন্ধু (রাঘব ও দিলীপ) যোগদান করে।
যে মেয়েটির সম্পর্কে মহেশ কথা বলছিল সে তানিরিকা।
এবং সেই মুহূর্তেই সুনিলও আকৃষ্ট হয়ে পরে!
বন্ধুদের এই গ্রুপ তানিরিকাকে খারাপ পদ্ধতিতে অভিগমন করে।
নির্দয়তার কাজ।
মহেশের চোখে লালসা পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান।
নির্যাতন ও মানসিক আঘাত এখনো তো রয়ে গেল!
সেই সময় যখন মেয়েটি অসহায় হয়ে পড়ে !
সমস্ত বন্ধু তাকে আরও বনের অভ্যন্তরে দিকে টেনে নিয়ে যায়।
মনে হচ্ছে পৃথিবী নিজেই জাহান্নাম হয়ে গেছে।
তারপর হঠাৎ একটি সাহায্যের হাত আসে। কিন্তু এটি কি আদৌ সাহায্যের হাত?
সে কি সেই পুরুষদের মধ্যে ছিল …?
কিভাবে সে এত সাহসী !
তানিরিকার মত প্রত্যেক মেয়ে সবসময় রঘবের মতো একজন মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।
এবং তারপর বাবার সঙ্গে মুখোমুখি ।
এমনকি তার বাবা হতাশ হয় এবং ক্ষমতা হীনতা বোধ করেন ।
ভদ্রলোককে ধন্যবাদ যে তার জীবন রক্ষা করেছেন…!
যদিও কিছু হওয়ার আগে সে বেঁচে গিয়েছিল, কিন্তু তার মনে ভয় জন্মায়।
এই ঘটনায় সে তার শৈশবের কথা স্মরণ করে, যখন সে কোন কারণে একটি পাথরের ওপর পড়ে গিয়েছিল এবং ভয় পেয়েছিল। তার পিতা বলেছিলেন, এটি সময়ের সাথে সাথে ভুলে যেতে। তার বাবা তাকে বলেছিল এতে পাথরের দোষ নেই, কারণ পাথর জড় পদার্থ, বরং তার পদক্ষেপের যত্ন নেওয়া উচিৎ ছিল।
কিন্তু এখানে কিছু প্রশ্ন এখনও তার মনে আসবে…
আজও কি আমার দোষ ছিল?
আমার কি অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়া উচিত ছিল?
এই মানুষগুলিও কি জড় পদার্থ ছিল?
এই ভয় কি মন থেকে মুছে যাবে?
আমি কি একা চলতে পারব?
প্রত্যেক নারী প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হন। এমনকি পুরুষের চোখ দিয়েও ধর্ষিত হন।
গো নিউজ২৪/আই