ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

তাহিয়াত ও নাহিয়ানের কান্নার শেষ কোথায়?


গো নিউজ২৪ | নিজেস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২, ২০১৮, ০২:০৭ পিএম আপডেট: জুন ২, ২০১৮, ০৮:০৭ এএম
তাহিয়াত ও নাহিয়ানের কান্নার শেষ কোথায়?

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হককে ডেকে নিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পুরাতন। এবার ঘটনার রাতের একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, র‍্যাব বলেছে, প্রকাশ হওয়া অডিও খতিয়ে দেখছে বাহিনীটির সদর দপ্তর।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর গুলিবর্ষণের অন্যান্য ঘটনার মতো এই ঘটনাও তদন্ত করা হবে।

পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি  একরামুল হকের দুই মেয়ে তাহিয়াত হক (১৪) ও নাহিয়ান হক (১১)। তারা দুই বোন টেকনাফ বিজিবি পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী।

তাহিয়াত অষ্টম ও নাহিয়ান ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাওয়া-আসার একমাত্র সঙ্গী ছিলেন তাদের বাবা একরাম। মোটরসাইকেলে করে সকালে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসতেন বাবা। স্কুল ছুটির পর আবার তাদের বাড়ি নিয়ে আসতেন। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বাবাকে ঘিরে দু’বোনের কত শত স্মৃতি।

বাবাই তাদের একমাত্র বন্ধু, একমাত্র অভিভাবক। সেই বাবা আজ নেই। বাবাকে হারিয়ে দুই বোনের কান্না থামছেই না। তারা জানে না, এই কান্নার শেষ কোথায়। তাদের একটাই প্রশ্ন—কী দোষ করেছিল আমাদের বাবা? কেন তাকে মেরে ফেলা হলো?

স্বজন হারানোর শোকে পাগল প্রায় পরিবারটি। বিশেষ করে দুই মেয়ে, বাবাকে হারানোর বিষয়টি মানতেই পারছে না। ঘটনার পর খাওয়া-দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছে তারা। একটু পর পরই কান্না করছে তারা। মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। এরই মধ্যে তারা অসুস্থ হয়েও পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার তাদের দুবোনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান একরামের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, জানি না, তাহিয়াত ও নাহিয়ানের কান্নার শেষ কোথায়? ছোটবেলা থেকেই বাবার আদর-স্নেহে বড় হয়েছে ওরা। সব সময় ছায়ার মতো তাদের পাশে পেয়েছে বাবাকে। এজন্য তাদের নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছি। ওদের কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছে না। কথায় কথায় বলছে, বাবাকে এনে দাও।

একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, আমার স্বামী নিরপরাধ। সে কোনোদিন ইয়াবা তো দূরের কথা, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পর্যন্ত চলাফেরা করেনি। র‌্যাবের সঙ্গে কোনও বন্দুকযুদ্ধ হয়নি। বন্দুকযুদ্ধের নামে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ সাজানো। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিভাগীয় বিচার এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি। যাতে আর কোনও নারী এভাবে স্বামীহারা না হয়।

তিনি বলেন, কদিন আগেও আমার একটি সাজানো সংসার ছিল। হাসি-আনন্দ ছিল। অভাব অনটন থাকলেও আমাদের কোনও দুঃখ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ সব তছনছ হয়ে গেলো। আজ পিতৃহারা হয়েছে আমার দুই মেয়ে। প্রতিদিন স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আবার নিয়ে আসতো। আজ কে আমার মেয়েদের স্কুলে নিয়ে যাবে? আমার মেয়েরা কাকে বাবা বলে ডাকবে? আমাদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার। কী নিয়ে বাঁচবো আমরা?

 গো নিউজ২৪/এমআর

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়