ঢাকা : মাদক ব্যবসায়ীদের আরও আগেই ক্রস ফায়ারে দেওয়া উচিত ছিলো বলে মনে করেন কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
মাদক বিরোধী অভিযানে দেশব্যাপী কথিত বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজন নিহতের ঘটনার পর আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত এমপি বদি (যদিও তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও, প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)।
এমন পরিস্থিতে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন বদি। সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, ক্রসফায়ার আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের সবারই সহযোগিতা করা প্রয়োজন। যুব সমাজকে বাঁচাতে এটা অপরিহার্য।
বদি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। এছাড়া এখন যারা মাদকের যারা ব্যবসা করে, তারা সবাই টিএনএজার। ১৭-১৮ বছর থেকে শুরু করে ২৫-৩০ বছরের ছেলেগুলো মাদক ব্যবসায়ী হয়ে গেছে।
তার এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ সম্পর্কে বদি বলেন, আমার সম্পর্কে আমি বিস্তারিত সংসদে বলেছি, চ্যালেঞ্জ করেছি। আমি বলেছি, এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। কারও কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে, প্রশাসনের কারও কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া, সাংবাদিক, প্লাস বাংলাদেশের প্রশাসনের যত গোপন সংস্থা আছে, কারও সঙ্গে ইয়াবা সংক্রান্তে কথা বলেছি, সে রকম কোনও তথ্য থাকলে প্রমাণ করুন।
তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকগুলো ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে, সেখানে তাদের কোনও নাম নেই। আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই আজ আমার এই অবস্থা। আমার ভাইদের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই। ইয়াবা ব্যবসা করে ধরা পড়ে শামসুন্নাহার জ্যোতি। নাম হয় আমার বোন শামসুন্নাহারের। আমার বোন তো একজন ওসির ওয়াইফ।
তিনি বলেন, শামসুন্নাহার জ্যোতি নামের একটি মেয়ে ইয়াবা ব্যবসা করে ধরা খেয়ে কারাগারে গেছে। কারাগার থেকে বের হয়েছে। আবার ব্যবসা করছে। সেখানে বলা হচ্ছে, আমার বোন শামসুন্নাহারের কথা। এখন কী বলবেন? এই একটি ঘটনা তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার ভাইদেরও কোনও নাম নেই। অথচ আমার ভাইদের নামগুলো বলা হয়। যারা প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী, তারা তো কোটি কোটি টাকার মালিক। তারা টাকা-পয়সা খরচ করে সব ম্যানেজ করে ফেলে। সমস্যা হচ্ছে এখানে। যেমন, একজন করিম ইয়াবা ব্যবসা করে, কিন্তু টাকা দিয়ে আরেক করিমকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এগুলো আয়নার মতো পরিষ্কার। যারা ইয়াবা ব্যবসায়ী, তাদের ঘর-বাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। যারা রিকশা চালাতো, পানের দোকানে চাকরি করতো, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। পাজেরো গাড়ি চালাচ্ছে।
গো নিউজ২৪/আই