ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ঘোষণা হলেও এতদিন রায়ের কপি না মেলায় জামিন আবেদন করা যাচ্ছিল না।
রায়ের দিন বৃহস্পতিবার থাকায় ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার জামিন আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। এক্ষেত্রে রায়ের কপি না মেলায় তা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে রায়ের ১২ দিন পর সোমবার সার্টিফায়েড কপি পেলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
রায়ের কপি হাতে পেয়েই মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জামিন আবেদনের কথা জানালেন তারা। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আগে থেকেই নিয়ে রেখেছেন আইনজীবীরা। এখন শুধু আনুষ্ঠানিত জামিন আবেদনের পালা।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দেকি খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, জাকির হোসেন ভূইয়া, জিয়াউদ্দিন জিয়া ও এম হেলাল উদ্দিন হেলালের হাতে এ রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেন আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন।
কপি হাতে পেয়ে সানাউল্লাহ মিয়া জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের সার্টিফায়েড কপি আমরা হাতে পেয়েছি। আগামীকাল মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করবো।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।
মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।
গো নিউজ২৪/আই