ঢাকা : সিরিয়ায় চলে যাওয়া বাংলাদেশি জঙ্গি নজিবুল্লাহ আনসারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো মোমেনা সোমার। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে নার্সকে ছুরিকাঘাত করে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি ছাত্রী মোমেনা সোমার বিষয়ে এমনটিই জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে সিরিয়ায় চলে যাওয়া নজিবুল্লাহ আনসারীর সঙ্গে সোমার সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নজিবুল্লাহর পরিবার রাজি না থাকায় ওই বিয়ে হয়নি। হয়তো ওই সময়ই সোমা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৫ সালে সোমার মা মারা যাওয়ার পর তা আরও তীব্র হয়। এসময় অনলাইনের মাধ্যমে আইএস ও আল-কায়েদাসহ জঙ্গি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপকরণ দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে সোমা তার ছোটবোন আসমাউল হুসনাকেও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেন। তবে তাদের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মোমেনা সোমা নামের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ। সেই সূত্র ধরে তার বাসায় আমরা অভিযান চালাই। সেখানে থাকা তার ছোট বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে নিজেও জঙ্গিবাদে জড়ায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসমাউল হুসনাকে জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন ওপেনসোর্স এবং অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলে আমরা এসব তথ্য পেয়েছি। মোমেনা পড়াশোনার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া যান। এর আগে তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় পরে অস্ট্রেলিয়া যান।
অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে সে তার ছোট বোন আসমাউল হুসনাকে বলেছিল, সেখানে গিয়ে একটা অঘটন ঘটাবে। যদি বাংলাদেশের পুলিশ তার বাসায় আসে সেখানেও যেন অন্তত একজন পুলিশকে হত্যা করে সে শহীদ হয়।
২০১৫ সালের দিকে মোমেনা সোমা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো। সে সময় তার মা মারা যায়। এরপর থেকে সে নিজেকে একটু গুটিয়ে নেয়। ওই সময় থেকে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোমেনা সোমাকে (২৪) গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ।
গো নিউজ২৪/আই