ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছেলেকে বাঁচাতে অসহায় বাবার আকুতি


গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০১৮, ০৫:১৬ পিএম
ছেলেকে বাঁচাতে অসহায় বাবার আকুতি

ঢাকা : আমি আর আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। দয়া করে আমার ছেলেকে বাঁচান। এভাবেই ছেলের সুস্থতার জন্য সরকার এবং দেশের মানুষের কাছে সহযোগীতা প্রর্থণা করেছেন এক অসহায় বাবা। সোমবার একটি জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে এ আহবান জানান তিনি।

সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকার ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি মো. আলমের ছেলে রেহমান সুবহান অয়ন দুটি কিডনিতে পাথর নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ২০৮ নম্বর কক্ষের ৭ নম্বর বেডে।

ইতোমধ্যে তার বাবা ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি মো. আলম সাড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন ছেলের জন্য। একের পর এক হাসপাতালে ভর্তি, ডাক্তার বদল ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই খরচ হয়েছে এসব টাকা। যেই ডাক্তারের কাছে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছেন সেখানেই অসংখ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হচ্ছে এরপর রেফার্ড করে দেয়া হচ্ছে আরেক হাসপাতালে। সেখানেও একইভাবে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা। ওইসব করাতেই ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়ে গেছে অয়নের বাবা।

তিনি জানান, আড়াই বছর বয়সে প্রসাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া শুরু করে অয়নের। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪ দিন ভর্তি থাকার পর অয়নকে নেয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর ডাক্তার জানালো অয়নের কিডনিতে পাথর হয়েছে। এ কারণে প্রসাব করার সময় রক্ত বের হয়েছে। এরপর ঢাকার ল্যাব এইডে ডাক্তার নজরুল ইসলামের কাছে অয়নকে নেয়া হলে তিনিও একই কথা বলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের কিডনি বিভাগে দেখানো হয় অয়নকে। সেখানেও নতুন করে সব কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানান, অয়নের দুটি কিডনির চারপাশে প্রতিনিয়ত নতুন করে পাথর জন্মাচ্ছে। এসব পাথর প্রসাবের রাস্তায় চলে আসায় চাপ দিয়ে প্রসাব করার কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

রক্তরক্ষণের পর ওষুধ প্রয়োগ করলে কিছুদিন সুস্থ থাকছে। এরপর আবারও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ রোববার (৭ জানুয়ারি) অয়নকে নিয়ে বোর্ড মিটিং করেছে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা। এরপর আবারও ৬টি পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়েছে যার তিনটি করতে প্রায় ১২ হাজার টাকা লাগবে। বাকি তিনটি বাংলাদেশে হয় না। সেগুলো হয় ভারতে। অথচ বাংলাদেশে হওয়া পরীক্ষাগুলো করার টাকাও নেই আলমের কাছে। এছাড়া প্রতিমাসে তাকে রক্ষ দিতে হচ্ছে। তার রক্ষের গ্রুপ বি নেগেটিভ। যা পাওয়া যায় না। ডাক্তার বলেছে তাকে সুস্থ করতে চাইলে দুটি কিডনিই বদলাতো হবে। কিন্তু কীভাবে সেটি সম্ভব?

তিনি বলেন, দীর্ঘ এই চিকিৎসাকালীন সময়ে ছেলের কোনো চিকিৎসায় হয়নি। হয়েছে শুধু পরীক্ষা নিরীক্ষা। তাতেই আমার সাড়ে ৫ লাখ টাকা শেষ হয়ে গেছে। সময় ক্ষেপণ না করে ছেলেটে এই টাকা দিয়ে ভারতে নিয়ে গেলে হয়তো সুস্থ হয়ে যেত অয়ন।

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস এই চিকিৎসা সরকারের নির্দেশে হলে ডাক্তাররা আরও গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করতো অয়নের। এতদিন হয়তো সুস্থ হয়ে যেত ছেলেটি আমার। সরকারের কাছে অনুরোধ করে বলতে চাই, আমি আর আমার ছেলে চিকিৎসা করাতে পারছি না। দয়া করে আমার ছেলেকে বাঁচান।

অয়নকে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন তার বাবা মো. আলমের ০১৯১৫-৪৮৫৬৪৭ নম্বরে। সাহায্য পাঠাতে পারেন মো. আলম, অগ্রণী ব্যাংকের হিসাব নম্বর : ০৫১৪০৭, আম্বরখানা শাখা সিলেট।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী