ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘গ’ ইউনিটে ফেল হওয়া সেই ছেলেটি ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম


গো নিউজ২৪ | বিনোদন প্রতিবেদন: প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৮, ০৬:৩৪ পিএম আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০১৮, ০৮:৫৯ পিএম
‘গ’ ইউনিটে ফেল হওয়া সেই ছেলেটি ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম

এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে। তুখোড় মেধাবী বনে চলে গেলেন নায়িকা শবনব বুবলীর ছোট ভাই জাহিদ হাসান আকাশ। ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তিনি। যে কিনা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ফেল করেছিলেন।

গতকাল (১৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ২৬.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এর আগে পরীক্ষার দিনই এই ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের মধ্যেই ফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেখানে মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের দুই ইউনিটের ফলাফলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঘ ইউনিটে মেধাতালিয়ায় ১০০ ক্রমের মধ্যে থাকা ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি। 

জাহিদ হাসান আকাশ রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এইচএসসি পাস করেছেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য ঘ ইউনিটে পরীক্ষা দেন। সেখানে ব্যবসায় শাখা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। অথচ ব্যবসায় শিক্ষা শাখার এই শিক্ষার্থী বাণিজ্য অনুষদে ভর্তির জন্য দেওয়া গ ইউনিটের পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। 

ঢাবির গ ইউনিটের পরীক্ষায় ফলাফলে দেখা যায় তিনি বাংলায় পেয়েছিলেন ১০.৮, ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২.৪০। অথচ এই শিক্ষার্থী ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০ পেয়েছেন। যা রেকর্ড বলা যায়।

এ বিষয়ে ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ঘ ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা তাকে ভর্তি করাইনি। তার ফল প্রকাশ হয়েছে। সে আসলে তার বিষয়ে তদন্ত ও যাচাই শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ জোরালো হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এটা প্রশ্নফাঁস না, ডিজিটাল জালিয়াতি। যারাই অভিযুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হবে। ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে আসা এই শিক্ষার্থী ঢাবির গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ১২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছিলেন ৩৪.৩২। অথচ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১৪.৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকার বাণিজ্য শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে ১২০ এর মধ্যে ১১৪.৩০ কেউ পায়নি। দ্বিতীয় স্থানে যিনি রয়েছেন তিনি ১২০ এর মধ্যে পেয়েছেন ৯৮.৪০। মেধাক্রমে যার ব্যবধান অনেক।

আরেক শিক্ষার্থী তাসনিম বিন আলম ঢাবি ঘ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখায়) প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। অথচ বিজ্ঞান শাখার এই শিক্ষার্থী তার নিজের অনুষদ ক ইউনিটের পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের মধ্যে ৪৩.৭৫ পেয়ে ফেল করেছিলেন। সেই তিনিই ঢাবি ঘ ইউনিটে সে ১২০ নম্বরের মধ্যে ১০৯.৫০ পেয়ে সম্মিলিত মেধা তালিকার বিজ্ঞান শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।

গো নিউজ২৪/জাবু

বিনোদন বিভাগের আরো খবর
বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী