ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ছবিতে শাকিব-কাজী হায়াত, শুনালেন গল্প


গো নিউজ২৪ | বিনোদন প্রতিবেদন: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮, ০৮:৪১ পিএম
নতুন ছবিতে শাকিব-কাজী হায়াত, শুনালেন গল্প

নির্মাণ হতে যাচ্ছে কাজী হায়াত ও শাকিব খানকে নিয়ে নতুন ছবি। নাম দিয়েছেন ‘মহাবীর’। আসতে পারে নামের পরিবর্তনও। পরিচালকের ভাষ্য, ‘যথাসম্ভব এই নামটা রাখারই চেষ্টা করবো।’ ছবিটি প্রযেজনা করবেন ইকবাল। তবে শাকিব খানও এর পেছনে লগ্নি করবে বলে জানা যায় পরিচালক মারফত।  

কাজী হায়াত জানালেন, ‘গল্পটা আমার মতোই।’ সেটার সারসংক্ষেপও বললেন এই স্বনামধন্য পরিচালক, ‘গল্পের শুরুতেই দেখা যাবে যে শাকিব খান এলোমেলো পোষাকে। আমাদের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হবে। বের হয়ে হেটে এসে একটা টং ঘরের দোকানে এক প্যাকেট সিগারেট চাইবে। সিগারেটের একটি খুলে আগুন ধরাতে যাবে। অমনি দোকানদার বলবে দাম দেন। শাকিব বলবে ‘আমি তো জেল থেকে বের হয়েছি। আমার কাছে তো ভাই কোন টাকা নেই। সিগারেট না খেলেও তো হবে না।’ 

দোকানদার ধমক দিয়ে বলবে ‘দাম নাই তো সিগারেট খাইতে হবে ক্যান! যত্তসব’ শাকিব বলবে, আমি তো জেলখানায় প্রায়ই আসা যাওয়া করি। এই পথে তো আসিই। পরেরবার না হয় দিয়ে দিবো। কিন্তু দোকানদার কিছুতেই মানতে চাইছে না। খুলে যে ফেলছে ওই থেকে আকুতি করে শাকিব বলছে, ভাই একটা দেন। না হয় মরে যাবো। তখন দোকানদার বললো জেলখাটে কি এগুলো খালি খালি। শাকিব ওই একটা নিয়ে চলেই গেল।’

দ্বিতীয় দৃশ্য নিয়ে বলেন, ‘এরপর শাকিব হাটতে হাটতে একটা রাস্তার পাশে ছোট রেস্টুরেন্টে ঢুকলো। সেখানে এক মহিলা পরাটা বানাচ্ছে। আর তার স্বামী সেকে দিচ্ছে। দুই তিনজন কাস্টমর বসা। ও স্ট্রেট ভিতরে বসে গেল। ওকে ঢুকতে দেখে সবাই থমকে গেল। কিন্তু শাকিব নির্বিকার। ও সিগারেটটা ধরাতে চুলার পাশে যায়। সিগারেটটা ধরাতে চেষ্টা করে। কিন্তু হচ্ছিল না। তখন মহিলার কাপর টান দিয়ে সেটা আগুনে দিলো। ওর থেকে সিগারেটটা ধরালো। এই দোকানে হইহুল্লোর শুরু হয়ে গেল। ও হাসতে হাসতে বললো চিৎকার করেন কেন, পুড়ে মরতে দেন না। 

তখন ওই মহিলার কাপুরে এসে ওনার স্বামী এসে পানি ঢেলে দিলো। শাকিব বলবে ‘আঙ্কেল বয়স তো হয়ে গেছে। মইরা গেলে তো আরেকটা বিয়ে করতে পারতেন। তখন মহিলা কটকট করে তাকিয়ে আছে। আর তার স্বামীও। তখন শাকিব বলবে কি মনে নেই। এবার যে জেলে গেলাম। ধরিয়ে তো তুমি দিছিলা। আমি কি ক্ষতি করছিলাম তোমারে? তোমারে দিয়ে শুরু করবো ভাবছিলাম। বলে থাপ্পার দিতে গেছে মহিলা। আবার নিজেই থেমে বলে নারী নির্যাতন করা অন্যায়।’

তৃতীয় দৃশ্য নিয়ে কাজী হায়াত বলেন, ‘এভাবে সে চলে গেল একটি লোকের বাসায়। ঢুকতে গেলে সবাই তাকিয়ে আছে। সেখানে গিয়ে একজনের সামনে দাড়ালেন। লোকটা বসতে বললো। শাকিব জিজ্ঞেস করলেন কি জন্য বসতে বলেন। আমি তো আপনার পক্ষের লোক না। লোকটা উত্তর দিলো, ‘রাজনীতিতে বিপক্ষ পক্ষ হতে সময় লাগে না। আমি মেয়র হতে পারিনি। তোমার জন্যই পারিনি। সেজন্য আমি তোমাকে জেলে পাঠিয়েছি। কিন্তু একটা সময় মনে হলো কেন তুমি জেলে থাকবে। তোমার বাইরে থাকা উচিত। বাঘ আমি কেন বন্দি করতে যাবো। তোমার আমার একটা কাজ করে দিতে হবে। না হয় তোমার ক্ষতি হবে।’ 

শাকিব হা হা করে উত্তর দেয়, ‘এইজন্যই আপনি মেয়র হতে পারেননি। আরে আমার আর কি ক্ষতি হবে। আমার কি কেউ আছে নাকি। ক্ষতির ভয় করবে যার বউ- ছেলেমেয়ে আছে। আমি কি বেঁচে আছি নাকি! এইসব মরার ভয় দেখাইয়েন না। কি করতে হবে বলেন।’ তখন তিনি উত্তর দিলেন, ‘যে মেয়রের হয়ে তুমি সন্ত্রাসীগিরি করছো। তাকে মেরে ফেলতে হবে। টাকা যা লাগে নেও। আর পুলিশের ঝামেলা আমি দেখবো।’

শাকিব উত্তর দিলেন, ‘এমন ভালো লোক কেন সরাবেন। বিয়ে করেনি এই জনসেবার জন্য। এত উন্নয়ন। তাকে আমি কেন মারবো? ‘তখন আরেকজনকে বলবে এই ওকে ওই ফাইলগুলো দেখা। কোন জায়গা থেকে কত নিছে। কত নিয়ে সে মেয়র হইছে। দপ্তরের লোক তো তার কথা বলে না। একঝাক বাঘের মধ্যে একটি হরিন তো বেঁচে থাকতে পারে না। আর বিয়ে! নৃত্যনতুন যার মাইয়া মানুষ লাগে তার আবার বিয়ে। 

সে একটা মেয়েকে ডাকে। সেই মেয়ে নায়িকা। মেয়েটা শিক্ষিত। সে বলে তার উপর কি অত্যাচার করেছে শোন। মেয়েটা শাকিবকে কাহিনী শোনায়। তখন শাকিব বলবে, তাইলে দেখি দুনিয়ায় ভালো মানুষ শুধু একা আমিই। তা আপনি তো এই ফাইল পুলিশের কাছেই দিতে পারেন।’

পরাজিত মেয়র বলে ‘আরে পুলিশ চলে টাকায় আর জনগন চলে আবেগে। দুইটাই ওর আছে। ওকে সরিয়ে না দিলে সমাজটা ভালো থাকবে না। সবে মেয়র হইছে।’ তখন শাকিব বলে ,‘ঠিক আছে নেতার সঙ্গে দেখা করে আসি। ’

তৃতীয় দৃশ্য নিয়ে বলেন, ‘নেতার বাড়িতে গেল। পুরান লোক বলে কেউ বাধা দিলো না। সরাসরি নেতার রুমে ঢুকে গেল। নেতা তাকে দেখে বললো ‘বস’। শাকিব বললো নেতা অন্যদের যেতে বলেন। আপনার সঙ্গে আমার পার্সোনাল কথা আছে। সবাই চলে গেল। শাকিবের প্রথম কথাই ‘নেতা জেলে গেলাম আপনার জন্য। আর একবারও দেখতে গেলেন না। কোন খোঁজ নিলেন না।’ 

নেতা উত্তর দিলো ‘দেখ, মেয়র হওয়ার পর সব জায়গায় যাওয়া যায় না। রাজনীতি চলে ইমেজে।’ শাকিব উত্তর দিলো ‘তা নেতা এই ফাইলগুলো কি? মেয়র ফাইলগুলো হাতে নিয়ে থতমত খেয়ে যায়। তোর কাছে এগুলো কিভাবে আসলো। শাকিব বলে ‘আর এই নামের মেয়েটা কে’। 

মেয়র আরো সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তখন শাকিব বলে ভয়ের কিছু নেই নেতা। আপনি আমাকে একটা সাহায্য করেন। নেতা বলে কি বল। আপনার শ্বাসটা বন্ধ করে দিবো। আপনি সাহায্য করেন। মেয়র বলবে, এই সাহস করিস না। অমনি ঝাপিয়ে পড়বে শাকিব। মুখ চেপে ফলের উপর রাখা ছুড়ি কলিজা বরারবর চেপে ধরবে।’

একটা সময় শাকিবই রাজনীতিতে ঢুকবে। ‘পাগল রাজা’ হয়ে যাবে। মেয়র হয়ে যখন যা ইচ্ছে তাই করবে। হুটহাট সিদ্ধান্ত। তবে সবটাই দেশের উন্নয়নের জন্য। আর তাকে সাহায্য করবে নায়িকা। 

পরিচালক জানায়, এ সপ্তাহেই শাকিবকে নিয়ে বসবেন তিনি। আর খুব শীঘ্রই শুটিংয়ে যাবেন। শারিরীকভাবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে জানালেন, ছবিটা মনোযোগ দিয়ে করবো। ভালো বাজেট নিয়ে করবো। হতে পারে এটাও আমার শেষ ছবি।

গো নিউজ২৪/জাবু

বিনোদন বিভাগের আরো খবর
বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী