ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুদের মনে আলোড়ন তুলেছিল যে ৬ সিনেমা


গো নিউজ২৪ | বিনোদন ডেস্ক: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮, ০৫:০২ পিএম
শিশুদের মনে আলোড়ন তুলেছিল যে ৬ সিনেমা

১. হোম এলোন:
১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া 'হোম এলোন' ছবিটি আমেরিকায় কমেডি ছবি হিসেবে বেশ সাড়া পেয়েছিল। গল্পটি লিখেছেন জন হিউজেস এবং পরিচালনা করেছেন ক্রিস কলম্বাস। ছবিটির গল্পে কেভিন নামের এক বালক কে ঘিরেই পুরো কাহিনীটি সাজানো।

গল্পের শুরুতে দেখায় কেভিনের পরিবার ক্রিসমাসের ছুটিতে বেড়াতে যায়প্যারিসে। কিন্তু, ঘটনাচক্রে কেভিন বাড়িতে একাই থেকে যায়। ইতিমধ্যে বালকটির বাড়িতে ঢুকে পরে দুই সিঁধেল চোর। কেভিনও কম চালাক নয়। বাড়িতে চোরের প্রবেশ বুঝতে পেরেই তার মাথায় বুদ্ধি আটে শুরু করে যে এদের কীভাবে শায়েস্তা করা যায়।

কেভিন ও সিঁধেল চোরের মধ্যে ঘটতে থাকে বিভিন্ন ধরণের মজার মজার সব ঘটনা। চোর ব্যর্থ হতে হতে হয়ে উঠে আরও প্রতিশোধ প্রবণ। যেকোন উপায়ে হোক কেভিন কে ধরতে চায় তারা। এরপর কি হয়..? বাকিটা না হয় আপনারাই দেখে উপভোগ করুন।

বেবিস ডে আউট

হলিউডের এই ছবিটির সঙ্গে অনেকেরই শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই আজও হঠাত্ সার্ফিংয়ে টেলিভিশনের কোনও চ্যানেলে ছবিটি দেখতে পেলে কাজ ফেলে বসে যাই অনেকেই। ছবিটা দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই একেবারে বাচ্চার মতোই হেসে উঠি আমরা। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটির নাম ‘বেবিজ ডে আউট’। ওই সময় আট থেকে আশি— সকলেরই মন জয় করে নিয়েছিল এই হলিউড ফিল্ম।

ই.টি

'ই.টি' দি এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল যুক্তরাষ্ট্রের একটি সায়েন্স ফিকশন ফ্যান্টাসি ছবি। ১৯৮২ সালে মুক্তি পায় এটি। যার নির্মাতা জনপ্রিয় পরিচালক স্টিভেন স্পিলবাগ। এই ছবির গল্পটি এক এলিয়ট নামের ছেলেকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায়।

গল্পের শুরুতে একদিন এলিয়টের দেখা হয় ভিনগ্রহের এক এলিয়নের সঙ্গে। তারপরে এলিয়ট ও সেই এলিয়নের মধ্যে একটা বন্ধুত্তপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এদিকে দেশের সরকার এলিয়ন টিকে বেশ তোরজোড় নিয়ে খুঁজতে থাকেন।

কিন্তু এলিয়ট তাকে খুব যত্নের সঙ্গে গোপনে লুকিয়ে রাখে। এলিয়নটি তার গ্রহে ফিরে যেতে চায়। সে জন্য সে এলিয়টের ওপর অনেক আশাবাদীও ছিল।

তাই, এলিয়ট এলিয়নটিকে তার গ্রহে ফিরেয়ে দিতে সর্বোত্তম চেষ্টা করতে থাকে। ইতিমধ্যে, এই কারণে তাদেরকে পড়তে হয় নানা রকম ঝামেলায়। অতঃপর এলিয়নটিকে কি শেষ পর্যন্ত তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারল এলিয়ট? ছবিটি সম্পূর্ণ দেখলেই বুঝতে পারবেন।

ওয়াল-ই

'ওয়াল-ই' ২০০৮ সালের মুক্তি পাওয়া এই আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন এনিমেশন ছবিটি করে নিয়েছে অনেকের মনেই জায়গা। যেটি পরিচালনা করেছেন এন্ড্রু স্টানটন।

কার্যত চলচ্চিত্রটি 'ওয়াল-ই' নামক এক রোবটকে নিয়ে। যার কাজ মূলত ময়লা পরিষ্কার করা। প্রসঙ্গত একসময় ওয়াল-ই প্রেমে পরে ইভ নামে আরেকটা রোবটের। ইভ সাধারনত মহাকাশ থেকে এসেছে এই পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্ব অনুসন্ধানে।

ইতিমধ্যে এই কার্যক্রম চলার মধ্যে ওয়াল-ই ও ইভের মধ্যে বেশ রোমাঞ্চকর অভিযানে জড়িয়ে পরে তারা। সেই অভিযানে কি তারা ব্যর্থ হয় নাকি সফল হয়? জানতে হলে দেখতে হবে ছবিটির বাকি মজার ও অদ্ভুত অংশটি।

হুগো

বিশ্ব বিখ্যাত আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক মারটিন স্করসিস। যিনি ২০১১ সালে এক ঐতিহাসিক এডভেঞ্চার ড্রামা নির্ভর চলচ্চিত্র 'হুগো' নির্মাণ করেছে।

যে গল্পটি ১২ বছর বয়সী এক বালক হুগো কে ঘিরে এগিয়ে চলে। হুগো ও তার পিতা প্যারিসের এক রেলস্টেশনেই থাকত। তারপর একদিন হুগোর বাবা একটি ভাঙা মেশিন খুঁজে পায়। এরপর হুগো এবং তার বাবা সেই মেশিনটি মেরামত করার চেষ্টা করে।

ইতিমধ্যে কোনোএক দুর্ঘটনাবশত কারণে হুগোর বাবা মারা যায়। যার ফলে একপর্যায়ে হুগো তার বাবাকে ছাড়া নানান বিপদের সম্মুখীন হতে থাকে। কিন্তু শত বাধা পেরিয়ে হুগো লোকচক্ষুর আড়াল হয়ে ঠিকই সেই ভাঙা মেশিনটি ঠিক করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। হুগো কি পারবে সকল বাধা পেরিয়ে মেশিনটা ঠিক করতে? তা জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে ছবিটি।

 দি জঙ্গল বুক

জন ফেভ্রু দ্বারা পরিচালিত ফ্যান্টাসি এডভেঞ্চার মুভি 'দি জঙ্গল বুক' মুক্তি পেয়েছে ২০১৬ সালে। ছবির গল্পটি এক এতিম মানব শিশু মোগলি কে ঘিরে। যার ছোট থেকেই বেড়ে উঠা জঙ্গলে। এককথায় বলতে গেলে জঙ্গলের নেকড়ে সমাজ মোগলিকে তাদের নিজেদের শিশুর মত করে কোলে পিঠে মানুষ করে।

শিশুটিও নিজেকে জঙ্গলের সঙ্গে দারুনভাবে মানিয়ে নিয়ে চলতে থাকে। কিন্তু এর মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ালো এক দুষ্ট বাঘ। দুষ্ট বাঘের নজরে পরে সেই মানব শিশু মোগলি। একপর্যায়ে দুষ্ট বাঘটি নেকড়ে সমাজকে জানিয়ে দেয় যে মোগলিকে তার কাছে খেতে না দিলে সে কাওকে শান্তিতে থাকতে দিবে না।

তাই একসময় নেকড়ে সমাজ সিদ্ধান্ত নিলো যে যেভাবেই হোক মোগলিকে মানুষের সমাজে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে হবে। সেজন্য মোগলি ও নেকড়ে মিলে নেমে পরে মানুষের সমাজে ফিরে যাবার অভিযানে।

তবে দুষ্ট বাঘটি কোনভাবেই পিছু ছারেনা মোগলির। তাই শিশুটিকে পড়তে হয় নানা রকম বিপদের মুখে। শেষ পর্যন্ত কি হয় মোগলির। সে কি সত্যি ফিরে যেতে পারে মানুষের সমাজে? জানতে চাইলে দেখতে হবে দি জঙ্গল বুক ছবিটি।

গোনিউজ২৪/এআরএম

বিনোদন বিভাগের আরো খবর
বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী