বিশ্বব্যাপী কয়েক বছর ধরে চলছে ‘মি টু’ আন্দোলন। যৌন হয়রানি রুখতে এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন বিনোদন ভুবনের তারকারাও। হলিউড, বলিউড এমনকি ঢালিউডের তারকারাও ‘মি টু’ আন্দোলনে সাড়া দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ দিয়ে যৌন হয়রানির মুখোমুখি হওয়া অনেক তারকাই নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
বিশেষ করে হলিউড বলিউডের বহু তারকা ছোট বেলায় এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানান। কিন্তু যখন ঘটেছে তখন কেন তাঁরা বিষয়টি প্রকাশ করেননি। এমন প্রশ্ন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
‘মি টু’ আন্দোলনের পাশাপাশি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগসহ ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘হোয়াই আই ডিড নট রিপোর্ট’ স্লোগান। এই স্লোগানটি মূলত এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি যৌন হয়রানির একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে। মার্কিন মনোবিদ ডক্টর ফোর্ড দেশটির বিচারপতি ব্রেট কাভানগের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন।
ডক্টর ফোর্ডের অভিযোগ অনুযায়ী বেশ কয়েক বছর আগে তার সঙ্গে এমনটি ঘটেছে। তাহলে আগে কেন তিনি বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি। এমন অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরগরম হলে, ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে ফোর্ডের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, কেন তিনি আগে ঘটনার প্রতিবাদ করেন নি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন আক্রমনে ফোর্ডের পাশে দাঁড়িয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাশোলে জুড। তিনিও টুইটারে হ্যাশট্যাগ ‘হোয়াই আই ডিড নট রিপোর্ট’ দিয়ে লিখেন- ‘আমার যখন ৭ বছর বয়স, তখন আমাকে একজন যৌন হেনস্থা করেন। আমি কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সঙ্গে ঘটনাটি শেয়ারও করি।
কিন্তু সে সময় তারা বলেন, “এমন ঘটনা ওই লোকটি করতেই পারেন না। তিনি তো বেশ ভাল মানুষ।” এরপর ১৫ বছর বয়সে আবার একই ঘটনার মুখোমুখি হলে আমার ডাইরিকে সব কথা খুলে বলি, কোনো মানুষকে নয়। আশা করি সবাই উত্তরটা পেয়েছেন।’
অ্যাশলের এমন বিবৃতির সমর্থনে টুইট করেছেন হলিউড অভিনেত্রী ডেরিল হান্নাহ, হুইটনি কামিংস, লিলি রেইনহার্টসহ অনেকে। লিলি রেইনহার্ট অবশ্য লিখেছেন- ‘আমি আগে প্রকাশ করিনি, কারণ আমি চাকরি হারাতে চাইনি। এছাড়া কেউ আমাকে ‘নাটকবাজ’ বলুক তা চাইনি।’
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস
গো নিউজ২৪/জাবু